ক্যাম্পাস

গুলিতে গুরুতর আহত জাবি অধ্যাপক

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা আন্দোলনকারী, পুলিশ ও ছাত্রলীগের ত্রিমুখী সংঘর্ষ চলাকালে সাংবাদিক ও শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি দুই অধ্যাপক আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর।

Advertisement

সোমবার (১৫ জুলাই) দিনগত রাত পৌনে ৩টায় উপাচার্যের বাসভবনের ভেতর এ ঘটনা ঘটে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে উপাচার্যের বাসভবনের ভেতরে পুলিশ রাবার বুলেট ছোড়ে। এসময় ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. লুৎফুল-ই এলাহী চোখে আঘাত পান।

এর আগে রাত পৌনে ৮টায় আন্দোলনকারী ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষ থামাতে গেলে আহত হন রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. আওলাদ হোসেন।

Advertisement

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি সড়ক ঘুরে বটতলা এলাকা ও বঙ্গবন্ধু হলের মাঝামাঝি জায়গায় পৌঁছালে ছাত্রলীগ অতর্কিত হামলা চালায়। পরে এ ঘটনার বিচার দাবিতে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে উপস্থিত হন আন্দোলনকারীরা। সেখানে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ছাত্রলীগের হামলা করার বিষয় টের পেয়ে উপাচার্যের বাসভবনের ভেতরে আশ্রয় নেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। পরে বাসভবনে প্রবেশ করেই হামলা করে ছাত্রলীগ।

আটকেপড়া শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করতে গেলে সেখানে পুলিশের সঙ্গে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়। তখন পুলিশ শিক্ষার্থীদের ওপর রাবার বুলেট ও টিয়ারগ্যাস ছোড়া শুরু করলে আহত হন অধ্যাপক এলাহী। এসময় আট সাংবাদিকসহ দুই শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন।

হাসিব জামান নামের আন্দোলনরত এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ মিছিল করছিলাম। মিছিলে ছাত্রলীগ অতর্কিত হামলা করে। হামলায় আমাদের একজন শিক্ষক আহত হযন। এসময় প্রক্টোরিয়াল টিম এবং কোনো নিরাপত্তা কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন না। ক্যাম্পাসের বাইরে থেকে সন্ত্রাসী এনে আমাদের ওপরে হামলা চালানো হযয়েছে।’

ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, শুরু থেকেই আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছি। কিন্তু পরিস্থিতির চূড়ান্ত অবনতি ঘটলে অ্যাকশনে যেতে বাধ্য হই।

Advertisement

সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আলমগীর কবির বলেন, আমি আসলে অপারগ।

এসআর/জেআইএম