মানুষের নিরাপত্তা বিধানকে প্রাধান্য দিয়ে এবং বেওয়ারিশ কুকুরের প্রাণী অধিকার ও জীবনের নিরাপত্তা সমুন্নত রেখে পদক্ষেপ নিতে সরকারের সংশ্লিষ্টদের প্রতি লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের তিন আইনজীবী।
Advertisement
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এ এম জামিউল হক ফয়সাল, কামরুল হাসান রিগ্যান এবং মো. জাকির হায়দারের পক্ষে আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল হাদী মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) এ নোটিশ পাঠান। স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক এবং স্বাস্থ্য সেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়েছে, এরই মধ্যে কর্তৃপক্ষ কিছু পদক্ষেপ নিলেও তা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। এ অবস্থায় বেওয়ারিশ কুকুরের বন্ধ্যাকরণ, আশ্রয়স্থল নিশ্চিত করা, টিকাদান অভিযান, জনসচেতনতা বাড়ানো, শক্তিশালী আইন প্রয়োগ, মোবাইল পশুচিকিৎসা ক্লিনিক স্থাপন, প্রাণী নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তাদের জন্য প্রশিক্ষণ ও জনস্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণের কথা বলা হয়েছে নোটিশে।
এছাড়া প্রাণী অধিকার সংরক্ষণে এনজিওগুলোর সঙ্গে অংশীদারত্ব, কুকুরদের মাইক্রোচিপিং এবং নিবন্ধন, জরুরি প্রতিক্রিয়া দল গঠন, খাদ্য স্টেশন, কুকুরের সংখ্যা নিয়ে গবেষণা, ফস্টার কেয়ার প্রোগ্রাম পরিচালনা, স্কুল পাঠ্যক্রমে প্রাণী কল্যাণ বিষয় অন্তর্ভুক্তি, নবজাতক কুকুরছানার যত্ন এবং কুকুরদের আচরণগত প্রশিক্ষণের দাবিও জানানো হয়েছে। যা বেওয়ারিশ কুকুরের প্রাণী অধিকার অক্ষুণ্ন রেখে কুকুরের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করে জননিরাপত্তা বিধানে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।
Advertisement
এ বিষয়ে আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে যথাযথ ব্যবস্থা নিয়ে তার অগ্রগতি সম্পর্কে একটি জন-বিবৃতি দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। অন্যথায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে নোটিশে।
এফএইচ/কেএসআর/এএসএম