কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে বিনা উসকানিতে সাধারণ শিক্ষার্থীসহ ছাত্রলীগের ওপর নির্বিচারে হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, এই আন্দোলনকারীদের একটা অংশ রাজাকারের পক্ষে কথা বলছে। এটা স্পষ্ট এর পেছনে রয়েছে বিএনপি-জামায়াত।
Advertisement
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি সাফ জানিয়ে দেন, দেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ টার্গেট করে যে আন্দোলন তা প্রতিহত করা হবে। ধৈর্য ধারণ করা মানে নীরবতা নয়, সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, কোটা আন্দোলনের পেছনে একটি মতলবি মহল আছে। অতীতেও সড়ক আন্দোলন কোটা আন্দোলনের ওপর ভর করে আন্দোলনের ফসল ঘরে তুলতে চেয়েছিল বিএনপি। অগ্নিসন্ত্রাস করেছে। কিন্তু সে আন্দোলনে তারা সাড়া পায়নি। জনগণের শক্ত অবস্থানের কাছে পরাস্ত হয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আজ যে কোটা সংস্কার আন্দোলন চলছে, এ আন্দোলনেরও নেতৃত্ব নিয়েছে তারেক রহমান। তার দল বিএনপি প্রকাশ্যে সমর্থন দিয়েছে। একটা অরাজনৈতিক ইস্যু রাজনৈতিক আন্দোলনে পরিণত করতে চক্রান্ত করছে। একটা অপশক্তিকে এর পেছনে লেলিয়ে দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী কোটা নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে যে বক্তব্য দিয়েছেন সেটাকে বিকৃত করে উপস্থাপন করে জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপ্রয়াস চালাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী কোটা আন্দোলনের কাউকে উদ্দেশ্য করে রাজাকার শব্দ ব্যবহার করেননি।
Advertisement
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি জামায়াতের ক্যাডাররা জোর করে ছাত্রদের আন্দোলনে নামতে চাপ দিচ্ছে। বিনা উসকানিতে ছাত্রলীগসহ সাধারণ ছাত্রদের ওপর গতকাল হামলা চালিয়েছে। ছাত্রলীগের অন্তত পাঁচশ নেতাকর্মী আহত হন। দুজন নেতা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। ছাত্রলীগের বিভিন্ন নেতার ভুয়া ছবি ব্যবহার করে বিভিন্ন পেজে অপপ্রচার করা হচ্ছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, কোটা সংস্কারের বিষয়টি সর্বোচ্চ আদালতের বিষয়। আদালত ছাড়া অন্য কোনো উপায় বা বলপ্রয়োগ করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথি মিলার যে বিবৃতি দিয়েছেন তার নিন্দা জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। অন্য দেশের গণতন্ত্র নিয়ে কথা বলার আগে নিজেদের চেহারা আয়নায় দেখা উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, যে আন্দোলন স্বাধীনতাকে টার্গেট করে সে আন্দোলন মোকাবিলা করবে আওয়ামী লীগ। আন্দোলনের নামে কোনো প্রকার জনদুর্ভোগ সরকার মেনে নেবে না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কোনো প্রকার অবমাননা সহ্য করা হবে না। প্রশাসনের ধৈর্য ধরা মানে দুর্বলতা নয়। সময়মতো যথাযথ অ্যাকশন নেওয়া হবে।
Advertisement
এসইউজে/এসএনআর/এএসএম