ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা সংস্কার দাবিতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে আন্দোলনরত ছাত্রীদের ওপর লাঠিহাতে আক্রমণ করছেন এক ছাত্রলীগ কর্মী। এমন একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। হামলাকারী ওই ছাত্রলীগ কর্মী পটুয়াখালীর কুয়াকাটার বাসিন্দা।
Advertisement
জানা যায়, কুয়াকাটা পৌর ছাত্রলীগের একজন সক্রিয় কর্মী হামলাকারী মো. রুবেল খান। তিনি কুয়াকাটা পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ও কুয়াকাটা পৌর আওয়ামী লীগের সদস্য মো. নুরু খানের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন কুয়াকাটা পৌরসভার ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
সোমবার (১৫ জুলাই) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চলা সংঘর্ষের পরই তার ছবি ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ‘ভার্সিটি থেকে বলছি’ নামের একটি ফেসবুক পেইজ থেকে তার ছবি পোস্ট হওয়ার পরই সমালোচনার ঝড় ওঠে নিজ এলাকায়। সর্বস্তরের মানুষ ওই পোস্টকে শেয়ার করে বিভিন্ন ধরনের সমালোচক মন্তব্য করেন।
ভাইরাল হওয়া দুটি ছবিতে দেখা যায়, হলুদ জার্সি ও কালো প্যান্ট পরণে ওই ছাত্রলীগ কর্মী লাঠি হাতে বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীর ওপর হামলা করছেন। অন্য একটি ছবিতে লাঠি হাতে একই পোশাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাষ্কর্যের পাদদেশে দাঁড়িয়ে থাকতেও দেখা যায় তাকে।
Advertisement
ছবি ভাইরালের পরই নিজ এলাকার সাধারণ মানুষ ও সাবেক ছাত্রলীগ কর্মীরাও তার এই কাজের নিন্দা জানিয়েছেন।
কুয়াকাটা পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. মজিবুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, রুবেল কুয়াকাটা ছাত্রলীগের কর্মী। তবে পৌর ছাত্রলীগের সদস্য নন। আমরা আন্দোলনকে আন্দোলন দিয়ে মোকাবিলা করবো কিন্তু তার এইরকম কাজ ছাত্রলীগ প্রশ্রয় দেয় না। আমি তার এই কাজের নিন্দা জানাই।
তবে হামলাকারী ছাত্রলীগ কর্মী রুবেলের দাবি ছবিগুলো এডিট করা। রুবেল নিজেকে কুয়াকাটা খানাবাদ কলেজের ডিগ্রি পাস কোর্সের ছাত্র হিসেবে দাবি করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের মারধর করার ছবি প্রকাশ হওয়ার বিষয় জানতে চাইলে রুবেল খান বলেন, আমি মূলত ঢাকায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতাদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছি। সোমবার টিএসসিতে গিয়েছিলাম। কিন্তু যে ছবি প্রকাশ করা হয়েছে তা এডিটিং করে প্রকাশ করা হয়েছে। কুয়াকাটার একটি রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ আছে যারা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।
Advertisement
আরিফ/মিরাজ/এফএ/এএসএম