ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে রেকর্ড গড়ায় সবাইকে ছাড়িয়ে গেছে স্পেন। গত রোববার রাতে ইংল্যান্ডকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে চতুর্থবারের মতো ইউরোপের সবচেয়ে বড় এই ফুটবল টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তারা।
Advertisement
ইউরোপের ফুটবলে সবচেয়ে সফল এই দলকে নিয়ে বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে মেতেছে স্পেনবাসী। জার্মানি থেকে শিরোপা নিয়ে আসার আগেই তাদের জন্য নানা আয়োজন করে রেখেছে দেশের ফুটবল ভক্তরা। ইউরো জয়ী তারকাদের সংবর্ধনা জানাতে অপেক্ষা করছিলেন শত শত মানুষ।
গতকাল সোমবার শিরোপা নিয়ে দেশে ফিরেছে স্পেন দল। সেখানে জমকালো আয়োজনে শিরোপা জয়ের আনন্দ উদযাপন করেছেন আলভারো মোরাতা-দানি ওলমোরা।
স্থানীয় সময় দুপুর ২টায় স্পেন ফুটলারদের বহনকারী ফ্লাইট দেশটির রাজধানী মাদ্রিদে অবতরণ করে। দেশে ফেরার কয়েক ঘণ্টা পর স্পেনের রাজা ষষ্ঠ ফিলিপের সঙ্গে দেখার করার জন্য জারজুয়েলা প্যালেসে যান তারা। এরপর প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎের জন্য মোনক্লোও প্যালেসে পরিদর্শনে যান রদ্রিরা।
Advertisement
এরপরই শুরু হয় মূল উৎসব। মাদ্রিদের মূল শহর থেকে ছাদখোলা বাসে প্যারেড শুরু হয়। খেলোয়াড় ও দলের স্টাফদের নিয়ে বাসটি শহরের বড় বড় রাস্তা-অ্যাভিনিউতে ঘুরতে থাকে। বাসের দুই পাশ দিয়ে তখন বয়ে যাচ্ছিল জনস্রোত। প্রিয় তারকাদের প্রতি লক্ষ্য করে উড়ন্ত চুমু আর অভিবাদন বার্তা প্রেরণ করেছিলেন উচ্ছ্বসিত জনতা।
উৎফুল্ল খেলোয়াড়রাও সমর্থকদের সেসব বার্তা কুড়িয়ে নিয়েছেন সযত্মে। তারাও ছড়িয়ে দিয়েছেন ভালোবাসার বাণী। এমন উচ্ছ্বাসের মধ্যে দিয়ে রাত ৯টায় বাসটি পৌঁছায় প্লাজা সিবিলেসে।
১৯৬০ সালে যাত্রা করা এই মহাদেশীয় টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় আসরেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল স্পেন। এরপর ২০০৮ ও ২০১২ সালে ইউরো জিতে জার্মানির সমান ৩বার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কৃতিত্ব দেখায় তারা। এবার চতুর্থবার চ্যাম্পিয়ন হয়ে অন্য সবাইকে ছাড়িয়ে গেলো স্পেন। সবচেয়ে বেশি চ্যাম্পিয়ন হওয়া একমাত্র দল এখন স্প্যানিশরা।
এমএইচ/জিকেএস
Advertisement