বাংলাদেশ থেকে আর্জেন্টিনার দূরত্ব ১৭ হাজার ৫০ কিলোমিটার; কিন্তু এতদূরে থেকেও খেলার মেলবন্ধনে দুই দেশের সম্পর্কটা আত্মার সম্পর্কের চেয়েও বেশি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
Advertisement
২০২২ সালের বিশ্বকাপের সময় বাংলাদেশী সমর্থকদের আর্জেন্টিনা ফুটবল দল নিয়ে পাগলামি নজর কেড়েছিল পুরো বিশ্বের। আর্জেন্টিনাও সেই বন্ধুত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশে তাদের দূতাবাস স্থাপন করে।
কোপা আমেরিকার ফাইনালে জিতবে মেসিরা, আর সেখানে উল্লাস করবে না বাংলাদেশের কোটি কোটি আর্জেন্টাইন সমর্থকরা সেটি ভাবাও অকল্পনীয়। বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টা ২০ মিনিটের দিকে খেলা শুরু হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গনে টিএসসিতে জড়ো হতে থাকে আর্জেন্টাইন ভক্তরা।
মেসির ইনজুরিতে সবাই যেভাবে কেঁদেছেন, লাউতারো মার্টিনেজের জয়সূচক গোলে পাগলের মত উল্লাসও করেছেন আর্জেন্টাইন সমর্থকরা। সেটি নজর এড়ায়নি আর্জেন্টাইন মিডিয়ার। আর্জেন্টিনার বিখ্যাত স্পোর্টস বিষয়ক পত্রিকা ‘ওলে.কম’ মেসিদের জয়ে বাংলাদেশে এমন উল্লাসের খব প্রকাশ করেছে।
Advertisement
পত্রিকায় বাংলাদেশ সম্পর্কে লেখা হয়, ‘পৃথিবীর অন্য কোন দেশে বাংলাদেশের মত আর্জেন্টাইন ফুটবলের প্রতি আবেগ নেই কারোর। ১৯৮৬ সালে মেক্সিকো বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যারাডোনার সেই অতিমানবীয় গোল থেকে শুরু হয়ে এখনো চলছে আলবিসেলেস্তেদের প্রতি ভালোবাসা। ম্যাচ শেষ হওয়ার সাথে সাথেই এশিয়ার এই দেশটির সমর্থকরা উল্লাসে মেতে ওঠে।’
আরআর/আইএইচএস/