ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ছাত্রলীগ ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
Advertisement
সোমবার (১৫ জুলাই) সন্ধ্যা ৭টার দিকে দোয়েল চত্বরে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এছাড়া ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হলের পাশে পুলিশের একটি সাঁজোয়া যান মোতায়েন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ঢাবি ক্যাম্পাসে উপস্থিত ঢাকা মহানগর মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনার (অপারেশনস) বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনুমতির পর ঢাবি এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বিশৃঙ্খলা এড়াতে পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নেবে।
এদিকে পুলিশের ১০০ গজ দূরে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হলের সামনে অবস্থান করছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তারা ‘অ্যাকশন অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’; ‘জবাব চাই জবাব চাই, প্রশাসন জবাব চাই’; ‘আমাদের দাবি আমাদের দাবি, মানতে হবে হবে’-সহ বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন।
Advertisement
আরও পড়ুন
শহীদুল্লাহ হলের সামনে সংঘর্ষ চলছে, মুহুর্মুহু ককটেল বিস্ফোরণ কোটা আন্দোলনকারীরা আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে শক্ত হাতে দমন আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের দফায় দফায় সংঘর্ষ, আহত ১৫৫ আন্দোলনকারীদের রাজাকার স্লোগানের জবাব ছাত্রলীগই দেবে: কাদেরএর আগে বিকেল ৬টা থেকে শহীদুল্লাহ হলের সামনে সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের মধ্যে থেমে থেমে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া চলছিল। একই সঙ্গে মুহুর্মুহু ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।
এরও আগে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল এলাকায় উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে পিছু হটে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হলের সামনে অবস্থান নেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে উভয়পক্ষের সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ১৫৫ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। তাদের ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। আহতদের মধ্যে আটজনকে ভর্তি করা হয়েছে। তারা হলেন- কাজী তাসনিম (২৪), ইয়াকুব (২৪), অমি আক্তার (২৬), আমিনুর (২২), শুভ (২৫), গিয়াস উদ্দিন (২২), নাসির (২৩) ও অপি (২২)।
Advertisement
টিটি/ইএ/এমএস