আম্বানি পরিবারের বিয়েতে সাজ-সজ্জার কমতি ছিল না! বর্ণিল ফুল ও ঝলমলে আলোর রশ্মিতে সেজেছিল অনন্ত-রাধিকার বিয়ের আসর। প্রায় এক বছর ধরে চলা বিবাহ-পূর্ববর্তী অনুষ্ঠানের পর গত ১২ জুলাই সাতপাকে বাঁধা পড়েন ভারতের শীর্ষধনী মুকেশ আম্বানির ছেলে অনন্ত আম্বানি।
Advertisement
রাজকীয় এই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন বিশ্বের নামিদামি ব্যক্তিবর্গ। নাচ-গান-আনন্দে মেতে ছিলেন তারা। বিশ্বের শীর্ষধনী, হলিউড-বলিউডের তারকারা এতে অংশগ্রহণ করেন। জাঁকজমকপূর্ণ সেই অনুষ্ঠান কোথাও একটু খাপছাড়া লেগেছে বাংলাদেশের নির্বাসিত লেখিকা তসলিমা নাসরিনের।
তাই তো তিনি ১৪ জুলাই তার ফেসবুক ওয়ালে একটি পোস্ট করেছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘আম্বানির রাজকীয় বিয়ের অনুষ্ঠানে হরেক রকম লোক এসেছিল তাদের হরেক রকম ঝলমলে পোশাক আর হরেক রকম হীরে পান্না মণি মুক্তো দেখাতে। তাদের কথা বলছি না। সমস্ত আনন্দ আর উৎসবের মধ্যে আমার শুধু অনন্তর জন্য কষ্ট হচ্ছিল।’
আরও পড়ুন আল মাহমুদ এক জাজ্বল্যমান ইতিহাস কলকাতার ‘দেশ’ পত্রিকার প্রচ্ছদ নিয়ে বিতর্ককষ্ট লাগার কারণ উল্লেখ করে তিনি লেখেন, ‘কষ্ট হচ্ছিল, এত বাজনা এত গান তার চারদিকে, অল্প বয়স, তার তো নাচতে ইচ্ছে করবেই, কিন্তু সে ভালো নাচতে পারছিল না, সে কারণে হাত দুটো ঝাঁকাচ্ছিল। এই নাচের ভিডিও দেখে কেউ কেউ হাসছিল। আমি হাসিনি।’
Advertisement
একই সঙ্গে তিনি পরামর্শ দিয়েছেন এই বলে, ‘আমি অনন্তর জায়গায় হলে হয়তো হাত গুটিয়ে বসে থাকতাম। নাচার চেষ্টা করতাম না। অনন্তর জায়গায় হলে জাস্টিন বিবারকে বলতাম, বাপু এই পোশাক চলবে না, তোমার বক্সার আমরা অনেক দেখেছি, এইবার ডিসেন্ট পোশাক পরে, কিছু যদি না পরতে চাও ওকে, টাট্টু দেখাও, কিন্তু গানটা গাও, হেঁড়ে গলার অডিয়েন্সকে দিয়ে পুরোটা না গাইয়ে নিজে গাও।’
এসইউ/জিকেএস