সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিমের প্রজ্ঞাপন বাতিলসহ তিন দফা দাবিতে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করছেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। টানা দুই সপ্তাহের এ আন্দোলনে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে শিক্ষকদের প্রতিনিধিদলের বৈঠকের পরও বিষয়টি নিয়ে স্পষ্ট সুরাহা হয়নি।
Advertisement
এমন পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে সচল করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাক্ষাৎ চান পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সংগঠন ‘বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদ’র নেতারা।
শুক্রবার (১২ জুলাই) বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) কাউন্সিল ভবনের মিলনায়তনে পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখান থেকে এ দাবি তুলে ধরা হয়। এতে সর্বসম্মতিভাবে এ সিদ্ধান্ত গৃহীতও হয়। শনিবার (১৩ জুলাই) সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সভায় দেশের ৩১টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য উপস্থিত ছিলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের সভাপতি ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হাবিবুর রহমান। সভায় সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে শিক্ষক আন্দোলন ও চলমান সংকট ইস্যু।
Advertisement
বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদ গৃহীত সিদ্ধান্তে বলা হয়, সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিম প্রণয়নের সময় বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদ বা শিক্ষার অংশীজনদের সঙ্গে কোনোরূপ আলোচনা না হওয়ায় উদ্ভূত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। শিক্ষকদের চলমান আন্দোলন ও যৌক্তিক দাবিগুলো নিরসনকল্পে অতিদ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে শিক্ষাসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে উদ্যোগ নিতে হবে। পাশাপাশি চলমান সংকট নিরসন করে ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে শিক্ষার অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টিতে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের সদস্যরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাক্ষাৎ প্রত্যাশা করেন।
সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সঠিক মানোন্নয়ন এবং স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ ত্বরান্বিত করতে সমন্বিতভাবে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ এবং প্রধানমন্ত্রীর ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’র ভিশন বাস্তবায়নকল্পে যে কোনো অশুভ তৎপরতার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদ সদা সজাগ ও সচেতন রয়েছে বলেও জানানো হয়।
এএএইচ/এসআর
Advertisement