‘অবৈধ বিয়ে’ বা ‘ইদ্দত’ মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবি। শনিবার (১৩ জুলাই) দেশটির একটি আদালত তাদের অব্যাহতি দিয়ে রায় ঘোষণা করেন। ইমরান খানের দল ও আইনজীবীরা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
Advertisement
গত বছর বুশরা বিবির সাবেক স্বামী খাওয়ার মানেকা এই মামলা করেছিলেন। তার অভিযোগ ছিল, ইমরান খানকে বিয়ে করার আগে ইসলামিক আইন অনুসারে তালাকের পরে প্রয়োজনীয় তিন মাসের বিরতি পালন করেননি বুশরা।
মানেকার দাবি, তিনি ২০১৭ সালের নভেম্বরে বুশরা বিবিকে তালাক দিয়েছিলেন। অথচ, ইমরান খান ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতেই বিবির সঙ্গে তার তৃতীয় বিয়ের ঘোষণা দেন।
পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনের মাত্র পাঁচদিন আগে গত ৩ ফেব্রুয়ারি ইমরান খান ও বুশরা বিবির বিয়ে অবৈধ বলে রায় দেন রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে বসানো একটি অস্থায়ী আদালত। রায়ে বলা হয়, ইদ্দতের সময় পূর্ণ না করে এই দম্পতি শরিয়াহ আইন লঙ্ঘন করেছে। রায়ে কারাবন্দি ইমরান খান ও বুশরা বিবির বিয়েকে ‘বেআইনি’ আখ্যা দিয়ে তাদের দুজনকেই সাত বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত। সেই সঙ্গে মোটা অঙ্কের অর্থও জরিমানা করা হয়।
Advertisement
পরবর্তী সময়ে এই মামলার সাজা স্থগিত চেয়ে আদালতে আবেদন করেন ইমরান ও বুশরা। গত ২৭ জুন ইসলামাবাদের স্থানীয় একটি আদালত তাদের আবেদন খারিজ করে দেন। এই ঘটনার দুই সপ্তাহের মাথায় শনিবার (১৩ জুলাই) আদালত বলেছেন, ইমরান খান ও বুশরা বিবির আপিল আমলে নেওয়া হয়েছে।
এদিকে, ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) এক শীর্ষ নেতা জুলফি বুখারি বলেন, খান সাহেব ও বুশরা বিবির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলো খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। এই মুহুর্তে এমন আর একটি মামলাও নেই, যার ভিত্তিতে ইমরান খানকে কারাগারে বন্দি করে রাখা যেতে পারে। অন্যদিকে, ইমরানের আইনজীবী নাঈম পাঞ্জুথা এক এক্স বার্তায় জানিয়েছেন, ইমরান খান ও বুশরা বিবিকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
ইমরান খানের আরেক আইনজীবী ইন্তাজার হুসেন পাঞ্জুথা বলেছেন, খান সাহেব খালাস পেলেও, তাকে মুক্তি দেওয়া হবে না। কারণ লাহোরের একটি সন্ত্রাসবিরোধী আদালত এই সপ্তাহে গত বছরের দাঙ্গাসংক্রান্ত একটি মামলায় তাকে গ্রেফতার করার অনুমোদন দিয়েছেন।
সূত্র: আল জাজিরা
Advertisement
এসএএইচ