চারদিকে এখন কোটা সংস্কার এবং প্রশ্নফাঁস নিয়ে আলোচনা চলছে। এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্ট করে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন সরকারি কর্মকর্তা সুশান্ত পাল। ৩০তম বিসিএসের কাস্টমস কর্মকর্তা ও ক্যারিয়ার বিষয়ক বক্তা সুশান্ত পাল এ নিয়ে সমালোচনার শিকার হচ্ছেন।
Advertisement
সুশান্ত পাল তার পোস্টে লিখেছেন, ‘কোটা এবং প্রশ্নফাঁস বিষয়ে কিছু না লিখলে যদি আপনাদের খারাপ লাগে, তাহলে এত কথা না বলে আমাকে আনফলো করে দিন। আরও ভালো হয় ব্লক করে দিলে। এসব নিয়ে আমি আপনার মনের মতো করে লিখব না। এটা আমার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। এত বেশি বিরক্ত করবেন না। আমি আপনার ফরমাশের চাকর নই।
এভাবে সহজ করে বুঝিয়ে বলার পরও যদি বিরক্ত করে যান, তাহলে বুঝব, আপনার কোনো লজ্জাশরম ও কাণ্ডজ্ঞান নেই।
আপনি আমাকে ব্লক না করলে আমি আপনাকে ব্লক করব এবং অবশ্যই করব। এতে আপনার সম্মান বাড়বে না, কমবে। আমি আপনাকে সম্মান করি, আপনি নিজেও নিজের সম্মান বজায় রাখুন।
Advertisement
আপনার হাতে কাজ নেই, আর আমার হাতে সময় নেই। এ কারণেই আমি চাইছি না যে, আপনি মনে এত কষ্ট নিয়েও আমাকে ফলো করুন। সৃষ্টিকর্তা আমাদের সহায় হোন।’
আরও পড়ুন
ভাইরাল যেন না হয় ভাইরাস মহাপরিচালক হিসেবে কাকে চাইছেন কবি-লেখকরা?এর জবাবে পোস্টের নিচে বিভিন্নজন মন্তব্য করছেন। ফলে তিনি কমেন্টস করার সুযোগও বন্ধ করে দিয়েছেন। তিনি কমেন্টস বক্সে লিখেছেন, ‘বিভিন্ন জায়গায় আমাকে নিয়ে দেখলাম খুব ম্যাসিভ আকারে চর্চা শুরু হয়ে গেছে। আমার হাসি পাচ্ছে, কেননা যে-বিষয় নিয়ে কথা হচ্ছে, তার সাথে আমার বিন্দুমাত্রও সংযোগ নেই।
আপনারা কী কারণে এভাবে একজন লোককে ক্রমাগত বিরক্ত করে যাচ্ছেন, আমার কাছে তা অস্পষ্ট। নিশ্চয়ই আপনারা ক্যান্ডিডেট নন, আপনারা কেবলই ফ্যাসাদ সৃষ্টি করার ব্যাপারে আগ্রহী। ভুল তো আপনাদের নয়, আমার। কখনও বিনা পয়সায় বাঙালির উপকার করতে নেই। আপনাদের বোধোদয় হোক।’
Advertisement
১২ জুলাই তিনি তার ফেসবুক ওয়ালে এমন পোস্ট করেন। এরপর থেকে ২৬৮টি কমেন্টস করা হয়। ৩১ হাজার রিঅ্যাক্ট পড়ে। এই পোস্টের ফলে এখন পর্যন্ত তার ১২ হাজার ৭শ’র বেশি ফলোয়ার কমেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তার বিরুদ্ধে পোস্ট করা হচ্ছে। এমনকি মিথ্যা তথ্য দিয়ে ফটো কার্ড বানিয়ে সামাজিকমাধ্যমে ছড়ানো হয়েছে।
এসইউ/এমএস