হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে আর্জেন্টিনা। এই গোষ্ঠীর সব আর্থিক সম্পদ জব্দ করারও আদেশ দেওয়া হয়েছে। দেশটির অতি-ডানপন্থী প্রেসিডেন্ট জাভিয়ের মাইলির জন্য এটি একটি বড় প্রতীকী পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। কারণ তিনি সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েলের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি করতে চাচ্ছেন।
Advertisement
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। ওই ঘটনার কথা উল্লেখ করে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে উল্লেখ করেছে আর্জেন্টিনা।
সে সময় হামাসের হামলায় ইসরায়েলের ১২০০ জন নিহত হয়। এছাড়া আরও ২৫০ জনকে জিম্মি হিসেবে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়।
জাভিয়ের মাইলির কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আর্জেন্টিনাকে আবারও পশ্চিমা সভ্যতার সঙ্গে নিজেকে যুক্ত করতে হবে।
Advertisement
গত ফেব্রুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার প্রথম রাষ্ট্রীয় সফরে মাইলি ইসরায়েলি সরকারের প্রতি সমর্থন প্রদর্শনের জন্য জেরুজালেমে গিয়েছিলেন। সে সময় তিনি ইসরায়েলি দূতাবাস প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যা নিয়ে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন। তবে এ নিয়ে তীব্র সমালোচনা জানায় ফিলিস্তিনিরা।
রোমান ক্যাথলিক হিসেবে বড় হলেও মাইলি বলছেন, ইহুদি ধর্মের সঙ্গে তার গভীর আধ্যাত্মিক সম্পর্ক রয়েছে। তিনি ইসরায়েলের একজন কট্টর সমর্থক। গত ৭ অক্টোবরের হামলাকে তিনি হলোকাস্টের সঙ্গে তুলনা করেছেন এবং এই ঘটনাকে একবিংশ শতাব্দীর নাৎসিবাদ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
আরও পড়ুন: এবার অস্ট্রেলিয়ায় ‘সন্ত্রাসী’ সংগঠনে তালিকাভুক্ত হচ্ছে হামাস হামাস স্বাধীনতাকামী সংগঠন: এরদোয়ানএর আগে ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন হামাসকে আনুষ্ঠানিকভাবে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এছাড়া ২০০৩ সালে হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসেম ব্রিগেডসকে সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকাভুক্ত করে অস্ট্রেলিয়া।
টিটিএন
Advertisement