মুসলামানদেরকে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওপর আস্থা ও বিশ্বাস রাখার বহু উপদেশ কুরআনে এসেছে। এবং সাহাবাগণকে সতর্ক করে হয়েছে যে, তোমরাও ইয়াহুদিদের মতো তোমাদের রাসুলকে অবাধ্যতামূলক অপ্রয়োজনীয় প্রশ্ন করবে না। যে প্রশ্নে কুফরির আশংকা থাকে। আল্লাহ বলেন-তোমরা কি তোমাদের রাসুলকে সেরূপ প্রশ্ন করতে চাও, যেরূপ মুসাকে (আলাইহিস সালাম) করা হয়েছিল। এবং যে (ঈমান) বিশ্বাসের পরিবর্তে (কুফরি) অবিশ্বাসকে গ্রহণ করে, নিশ্চিতভাবে সঠিক পথ হারায়। (সুরা বাক্বারা : আয়াত ১০৮)এ আয়াতের সার-সংক্ষেপ হলো- রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন ইসলামের দাওয়াত দিতে লাগলেন, তখন মক্কার কুরাইশ ঈমান গ্রহণের শর্তস্বরূপ তাঁকে বিভিন্ন প্রশ্ন করতে থাকে। এ কারণেই আল্লাহ তাআলা এ আয়াত নাজিল করেন।বিশ্বনবিকে দেয়া শর্ত সমূহ>> অবিশ্বাসীরা এ দাবি করলো যে, আপনি সাফা পাহাড়কে স্বর্ণে পরিণত করুন, তখন তিনি বললেন, এ পাহাড়কে স্বর্ণে রূপান্তরিত করা সম্ভব কিন্তু এ কথা মনে রেখ, যদি (তোমাদের আকঙ্ক্ষা মোতাবেক) পাহাড়কে স্বর্ণের পাহাড় বানানো হয় এবং তারপরও তোমরা নাফরমানি কর, বে তোমাদের পরিণতি বনি ইসরাইলের পরিণতির অনুরূপই হবে। বনি ইসরাইলের আবেদন মোতাবেক আসমান থেকে খাবার আসার পরও যখন তারা কুফরি করলো তখন তাদেরকে শুকরে পরিণত করা হলো।>> আল্লামা বাগভি রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেছেন, ইয়াহুদিরা যখন প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দরবারে হাজির হয়ে বলেছিলেন, যেভাবে মুসা আলাইহিস সালাম তাওরাত নিয়ে এসেছিল, ঠিক তেমনি আপনি পবিত্র কুরআন আসমান থেকে একবারেই নিয়ে আসুন। তাদের এ কথার জবাবে আলোচ্য আয়াত নাজিল হয়।>> কেউ কেউ বলেন, ‘পৌত্তলিকরা বলেছিল যে পর্যন্ত আপনি আসমানে আরোহন না করবেন আর আসমান থেকে কিতাব নিয়ে না আসবেন এবং নিয়ে আসা কিতাব আমরা যে পর্যন্ত না পড়বো। ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা আপনার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করবো না। তাদের এ উক্তির জবাবে আল্লাহ তাআলা এ আয়াত নাজিল করেন।আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে কুরআনের বিধান নিয়ে বাড়াবাড়ি না করে তা যথাযথ পালন করে পরকালে মুক্তি লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।এমএমএস/পিআর
Advertisement