একটুখানি বৃষ্টি হলেই তলিয়ে যায় রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েন সড়কে চলাচল করা মানুষেরা। বিকল হয়ে পড়ে যানবাহনও। এ যেন ঢাকার নিয়মিত চিত্র। একটানা বৃষ্টি হলেই দুর্ভোগ এসে হাজির হয় সামনে। সব মিলিয়ে বৃষ্টি, যানজট আর জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগে পড়েন নগরীর বাসিন্দারা। বৃষ্টি হলেই সরব হয়ে ওঠে সোশ্যাল মিডিয়া। নগরবাসী নানাবিধ ছবি ও ভিডিও পোস্ট করতে থাকেন ফেসবুকে। কার এলাকার কী অবস্থা, তা জানা যায় এসবের মাধ্যমে। একটি ভিডিওতে শুক্রবার সকালের টানা বৃষ্টিতে সড়কের পানিতে সাঁতার কাটতে দেখা যায় দুই শিশুকে। কোনো কোনো এলাকায় পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা সড়কের পানি সরানোর চেষ্টা করেন বালতি বা গামলা দিয়ে।
Advertisement
কাজের তাগিদে বের হয়ে বিপাকে পড়েন অনেকেই। লেখক ও প্রকাশক কাদের বাবু জানান পল্টনের অবস্থা। তিনি লেখেন, ‘আহা রে! পল্টন টাওয়ারের সামনে এখন! কীয়েক্টা অবস্থা!’ মুশফিকুর রহমান ঢাকা কলেজ ক্যাম্পাসের ছবি পোস্ট করেছেন। সেখানেও দেখা গেছে তলিয়ে আছে মাঠ এবং রাস্তা।
ওয়াশিম ফারুক লিখেছেন, ‘ডুবন্ত রাজধানী! আজকের বৃষ্টিতে অনেক বড় একটা ব্যবসায়িক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি। যদিও এখন ভাগ্যের ওপর দায় চাপাচ্ছি কিন্তু এর সম্পূর্ণ দায় ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের!’ নটর ডেম কলেজের সামনের সড়কে হাঁটু পানিতে আটকে থাকা প্রাইভেট কারের ছবি ছড়িয়ে পড়েছে ফেসবুকে। ইঞ্জিনে পানি ঢুকে অনেক গাড়ি মাঝ রাস্তায় বিকল হয়ে পড়ে আছে।
আরও পড়ুন রিকশার প্যাডেল ঘুরলেও ঘোরে না ভাগ্যের চাকা মায়ের মৃত্যুতে শিশুর অনুভূতি জানতে চাওয়ারাজধানীর ফকিরাপুল, নয়াপল্টন, বায়তুল মোকাররম, শান্তিনগর, মালিবাগ মোড়, আরামবাগ, প্রগতি সরণি, নিউমার্কেট, ধানমন্ডি, বংশাল, রোকেয়া সরণি, দয়াগঞ্জ, সায়দাবাদ, নিমতলী, এলিফ্যান্ট রোড, মৎস্যভবন, কারওয়ান বাজার, বিজয় সরণি, ঢাকা গেট, মিরপুর ও সেগুনবাগিচার সড়কেও পানি দেখা যায়।
Advertisement
ঢাকার রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়া নিয়ে দুই লাইন কবিতা লিখেছেন কবি ইমতিয়াজ মাহমুদ। লেখাটি পোস্ট করেছেন তার ফেসবুক ওয়ালে। তিনি লিখেছেন, ‘এমন বৃষ্টির দিন, গন্তব্যও ডুবে গেলো শেষে,/ সমুদ্র হারিয়ে যায়, নাবিককে পৌঁছে দিতে এসে।’
সুতরাং বুঝতে বাকি নেই, বৃষ্টি এলে রাজধানী যেমন তলিয়ে যায়; তেমনই নেটিজেনরাও সরব হয়ে ওঠেন ছবি ও ভিডিও নিয়ে। হাতের মুঠোয় চলে আসে সব খবর। কেউ কেউ দোষারোপ করেন পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা নেই। কেউ কেউ দায়ী করেন মানুষের সচেতনতাকে। তবে সবারই কামনা, ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নতি হোক।
এসইউ/জিকেএস
Advertisement