কোটাবিরোধী আন্দোলন থেকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম আব্দুল মঈনের ওপর জুতা নিক্ষেপ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কোটবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
কোটা ইস্যুতে এদিন বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেন।
খবর পেয়ে সন্ধ্যা ৬টার দিকে মহাসড়কের কোটবাড়ি এলাকায় যান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম আবদুল মঈন। তিনি শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ছেড়ে ঘরে ফেরার আহ্বান জানান। এ সময় আন্দোলনকারীরা তার ওপর জুতা, বোতল ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন এবং ‘ভুয়া’, ‘ভুয়া’ স্লোগান দিতে থাকেন। একপর্যায়ে উপাচার্য ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
Advertisement
আরও পড়ুন
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী-পুলিশের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া পুলিশ-ছাত্রলীগের চোখরাঙানির মধ্যেই উত্তাল কোটাবিরোধী আন্দোলন সরকার চাইলে কোটা সংস্কার করতে পারবেএ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম আবদুল মঈন বলেন, আমার ছাত্রদের ওপর হামলার খবর পেয়ে কোটবাড়ি বিশ্বরোড এলাকায় তাদের দেখতে যাই। এর আগে কুমিল্লার পুলিশ সুপারকে (এসপি) ফোন দিয়ে সব পুলিশ সরাতে বলি। ঘটনাস্থলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যে অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় তা অত্যন্ত দুঃখজনক।
এর আগে এদিন বিকেল ৩টার দিকে ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে কুবি শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করতে যান। পথে আনসার ক্যাম্প মোড়ে পুলিশি বাধার মুখে পড়েন তারা। এ সময় পুলিশ ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে পুলিশ লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এতে তিন সাংবাদিকসহ কমপক্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হন।
পরে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে বিকেল ৫টার দিকে আন্দোলনকারীরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেন।
Advertisement
জাহিদ পাটোয়ারী/ইএ