ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের দ্বিতীয় বিমসটেক রিট্রিট সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে চীন সফর শেষে গতকাল বুধবার রাতে বেইজিং থেকে সরাসরি দিল্লি যান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) শুরু হওয়া দুই দিনব্যাপী এই রিট্রিটে বিমসটেক দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা অংশ নিয়েছেন। তারা বিমসটেক প্রক্রিয়াকে আরও শক্তিশালী করা এবং আসন্ন ৬ষ্ঠ বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলন সফল ও ফলপ্রসূ করার বিভিন্ন উপায় নিয়ে আলোচনা করেন। এই সম্মেলনে নেপালের প্রতিনিধিত্ব করছেন দেশটির পররাষ্ট্র সচিব।
আলোচনায় অংশ নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ আঞ্চলিক এই জোটভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, খাদ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তা, জলবায়ু পরিবর্তন, সংযোগ এবং নীল অর্থনীতির (ব্লু ইকোনমি) ক্ষেত্রে কার্যকর সহযোগিতার ওপর জোর দেন।
আরও পড়ুনঢাকা-বেইজিং ফ্লাইট বাণিজ্যে নতুন মাত্রা যোগ করবেবাংলাদেশকে এক বিলিয়ন চীনা মুদ্রা সহায়তার ঘোষণাবৈঠকের পাশাপাশি বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারত ও মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তারা পারস্পরিক স্বার্থের বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্করের সঙ্গে বাংলাদেশে নিত্যপণ্য আমদানিতে অব্যাহত সুবিধা বজায় রাখা ও তিস্তা প্রকল্পের জন্য কারিগরি দল পাঠানোর বিষয়ে আলোচনা হয়। মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী থান সুই বৈঠকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দেন। এছাড়া নেপালের পররাষ্ট্র সচিব সেওয়া ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
Advertisement
বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টরাল, টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন (বিমসটেক) দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ৭টি দেশ নিয়ে গঠিত একটি আঞ্চলিক জোট। ১৯৯৭ সালে সৃষ্ট এই জোটের সদস্য বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, মিয়ানমার, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ড।
২০১৪ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকায় বিমসটেকের সদর দপ্তর উদ্বোধন করেন।
বিমসটেকের মূল উদ্দেশ্য দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং বঙ্গোপসাগর উপকূলের দেশগুলোর মধ্যে প্রযুক্তিগত ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্র তৈরি করা। ব্যবসা, বিনিয়োগ, প্রযুক্তি, পর্যটন, মানবসম্পদ উন্নয়ন, কৃষি উন্নয়ন, মৎস্যসম্পদ, যোগাযোগ ব্যবস্থা, পোশাক ও চামড়া শিল্পসহ আরও বেশকিছু ক্ষেত্র বিমসটেকের আওতাভুক্ত।
আইএইচআর/কেএসআর/জেআইএম
Advertisement