কোটা সংস্কারের দাবিতে সাড়ে তিন ঘণ্টা অবরোধের পর রাজধানীর মিরপুর-ফার্মগেট সড়ক ছেড়ে দিয়েছেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) শিক্ষার্থীরা। বুধবার (১১ জুলাই) বিকেল ৭টা ২০ মিনিটে আন্দোলনকারীরা সড়ক ছেড়ে দেন।
Advertisement
এর আগে দেশব্যাপী বাংলা ব্লকেড কর্মসূচিতে অংশ নিতে গেলে বিকেল ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ফটকে বাধা দেয় পুলিশ। এসময় বাধা উপেক্ষা করে আন্দোলন করতে গেলে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এতে অন্তত ১০ জন আহত হন।
পরবর্তীতে পুলিশের বাধা ভেঙে ফটকসংলগ্ন মিরপুর-ফার্মগেট সড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। অবরোধের ফলে দীর্ঘ সময় ধরে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে দুর্ভোগে পড়া যাত্রীদের অনেককে হেঁটে গন্তব্যে যেতে দেখা যায়।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ চেয়েছি। কিন্তু পুলিশের বাধা দেওয়া ও লাঠিচার্জ পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে তুলে। আমাদের এক দফা এক দাবি মানতে হবে। আমরা আঘাতপ্রাপ্ত হয়েও শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের দাবি মানতেই হবে। না হলে আন্দোলন চলবে।
Advertisement
অবরোধ শেষে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে একত্রিত হন। এসময় কোটা বৈষম্য আন্দোলনের সমন্বয়ক আশিক আহমেদ সবার উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আজ আমাদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে আহত করা হয়েছে। এমনকি গ্রেফতার করতেও শিক্ষার্থীদের ধরেছে পুলিশ। আমরা এই কোটা বৈষম্য দূর করতে রক্ত দিয়েছি, রক্ত আরও দেবো। মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ আমাদের শিক্ষার্থীদের হক। আগামী দিনে প্রতিটা হল থেকে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে যোগ দেবে। শিক্ষার্থীদের মুখ বন্ধ করে দেওয়া যায় না। আমাদের এখন আর ঘুমিয়ে থাকার সময় নেই।’
তাসনিম আহমেদ তানিম/এমআইএইচএস/জেআইএম