‘যাত্রী ছাউনি আছে, কিন্তু বসার কোনো পরিবেশ নেই। নেই আলোর সু-ব্যবস্থাও। এসি নেই, চলে না ফ্যানও। সবকিছুই মাদকসেবী ও ভবঘুরেদের দখলে। সাধারণ যাত্রীদের বসার জায়গা কোথায়? যাত্রীদের সেবায় কারও নজর নেই’ গাবতলীর শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যাত্রী ছাউনি নিয়ে এভাবেই জাগো নিউজকে কথাগুলো বলছিলেন ঝিনাইদহগামী যাত্রী শরিফুল ইসলাম।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সরেজমিনে যাত্রী ছাউনি ঘুরে দেখা যায়, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যাত্রী ছাউনিতে কোনো এসি নেই। এসির বদলে ৫টা ফ্যান থাকলে তা সবসময় চলে না। ছাউনির ভেতরে বঙ্গবন্ধু কর্নার থাকলেও তা অপরিষ্কার। এছাড়া মেয়েদের নামাজের কক্ষ ও শিশুদের দুগ্ধপান কক্ষও ব্যবহারের অনুপযোগী। নেই আলোর সু-ব্যবস্থাও।
আশপাশের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, যাত্রী ছাউনি ভোর ৫টায় খোলা হয় এবং বন্ধ হয় রাত ১১টায়। যাত্রী ছাউনি পরিষ্কার করার মতো কেউ নেই। ফলে ছাউনির মেঝে ও সোফায় ময়লা-আবর্জনার পড়ে থাকে। ভেতরে গন্ধ। অন্ধকার ও প্রচণ্ড গরমে যাত্রীদের ভোগান্তি হয় চরমে। ফ্যান বন্ধ থাকায় অনেক যাত্রীকে ছাউনির বাইরে বসতে দেখা যায়।
ছাউনির সোফা ও চেয়ারগুলো গাবতলীর ভবঘুরে শিশু-কিশোরেরা সবসময় দখল করে থাকে।কোনো যাত্রী ভয়ে সাহস করে এসব কিশোরদের কিছু বলতে চান না, কারণ এরা অধিকাংশ সময় নেশাগ্রস্ত থাকে।
Advertisement
এ যাত্রী ছাউনির পাশেই একটি প্রকল্পে কাজ করেন মোহাম্মদ সজিব শেখ। কথা হলে সজিব শেখ বলেন, আমি নিয়মিত গাবতলীর যাত্রী ছাউনিটি ব্যবহার করতাম। এখানে একটি প্রকল্পে কাজ করার সুবাধে মাসে ১৫ থেকে ১৬ দিন এখানে আসা হয়। কিন্তু বর্তমানে এ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যাত্রী ছাউনিটি ব্যবহারের অনুপযোগী। এসি উধাও, নোংরা পরিবেশ।
যাত্রী ছাউনির বাইরে বসে আছেন আরিফুল ইসলাম। তিনি চুয়াডাঙ্গা যাবেন। যাত্রী ছাউনির বাইরে বসে থাকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ছাউনিতে বসবো কোথায়? আসন সব গাঁজা খোরদের দখলে। এসি চলে না বাথরুম নেই, চারিদিকে গন্ধ।’
এ বিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত সচিব) মীর খায়রুল আলম জাগো নিউজকে বলেন, আমরা যাত্রীদের সুবিধার কথা বিবেচনা করেই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যাত্রী ছাউনি চালু করেছি। এসি যদি বন্ধ থাকে। যাত্রীদের বাইরে অন্য কেউ সেখানে ঘুমিয়ে থাকে অবশ্যই ব্যবস্থা নেবো। এ বিষয়েও প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে।’
এমওএস/এমএএইচ/জেআইএম
Advertisement