কোপা আমেরিকার অন্যতম হট ফেবারিট ধরা হয়েছিল উরুগুয়েকে। কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিলকে টাইব্রেকারে হারিয়ে সেমিতে উঠেছিল তারা। কিন্তু এখানে আর পেরে উঠেনি। কলম্বিয়ার বিপক্ষে ১-০ ব্যবহারে হেরে বিদায় নিতে হয় তাদের।
Advertisement
দলে দারুণ সবফুটবলার থাকলেও এই ম্যাচে প্রথম একাদশের অনেককেই পাননি কোচ বিয়েলসা। আর অনেকের বদলি হিসেবে তারা মাঠে নামলেও নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। আর এতেই ম্যাচটা ফসকে গেছে বলে মনে করেন কোচদের কোচ হিসেবে খ্যাত বিয়েলসা।
“আমরা ম্যাচটা জয়ের পথেই ছিলাম। আমি এমন একটি দলকে কোচিং করাই যারা ব্যক্তিগত দিক দিয়ে প্রতিপক্ষের থেকে বেশি শক্তিশালী। যখন আপনি হারবেন তখন যেকোন কিছুকেই অজুহাত হিসেবে দাঁড় করানো যায়। কিন্তু একটা সময়ে নাহিতান নানদেজ, রোনাল্ড আরাউহো, ম্যাতিয়াস অলিভিয়েরা, ম্যাতিয়াস ভিনা, রড্রিগো বেন্তানখুর এর বদলি হিসেবে যারা মাঠে নেমেছিল তারা তাদের আসলে খেলাটা খেলতে পারেনি।”
বহিষ্কার হওয়ার কারণে নানদেজ, ইনজুরির কারণে আরাউহো এই ম্যাচ থেকে আগেই ছিটকে গিয়েছিলেন। অলিভিয়েরা ও ভিনা অতিরিক্ত ম্যাচ খেলার ঝুঁকি এড়াতে হয়েছে এবং বেন্তানখুর মাঠেই ইনজুরি পেয়ে উঠে যায়।
Advertisement
কলম্বিয়ার বিপক্ষে নিজেদের ছন্দময়ী খেলাটা খেলতে পারেনি উরুগুয়ে। আর এজন্য কলম্বিয়ার ফুটবলার আগ্রাসী মনোভাবের খেলাকেই দায়ী করছেন তিনি। “দ্বিতীয়ার্ধে একজন মানুষ বেশি নিয়ে ম্যাচটি পুরোটা অস্বাভাবিক ছিল কারণ বারবার রেফারি বাঁশি বাজিয়ে খেলা থামাচ্ছিলেন। যদিও সবকিছু নিয়মের মধ্যে থেকেই হয়েছে কিন্তু খেলায় ধারাবাহিকতা রক্ষা করাটা অসম্ভব ছিল। আমরা সবরকম চেষ্টাই করেছিলাম।”
ম্যাচের পর কলম্বিয়ার সমর্থক ও উরুগুয়ের ফুটবলারদের ভেতর হাতাহাতি হয়। কোচ সে বিষয়ে বলেন, “আমার মনে হয়েছে ঝামেলাটা মাঠের ভেতর হচ্ছে। তারপর মনে হলো সব ঠিক হয়ে যাচ্ছে তাই আমি লকার রুমে চলে গেলাম। আমার মনে হয়েছে ফুটবলাররা মাঠের এক কোণে দাঁড়িয়ে দর্শকদের ধন্যবাদ দিচ্ছে কিন্তু পরে জানতে পারলাম দর্শকদের সঙ্গে মারামারি হয়েছে। দুঃখজনক ব্যাপার এটি।”
আরআর/জেআইএম
Advertisement