এবারের ন্যাটো সম্মেলনে ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য রাশিয়ার তীব্র সমালোচনা করে কিয়েভকে একঝাঁক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে পশ্চিমারা। কিন্তু ফিলিস্তিন ইস্যুতে বরাবরের মতোই চুপ তারা। ব্যতিক্রম কেবল স্পেন।
Advertisement
গত বুধবার (১০ জুলাই) ওয়াশিংটনে ৭৫তম ন্যাটো সম্মেলনে ঝাঁঝালো বক্তব্য রেখেছেন স্প্যানিশ প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ। ইউক্রেন ইস্যুতে সোচ্চার, আর ফিলিস্তিন ইস্যুতে চুপ থাকায় ন্যাটো নেতাদের ‘ভণ্ড’ বলে কটাক্ষ করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন >>
সাগরে হুথিদের মোকাবিলায় জোট গড়ছে যুক্তরাষ্ট্র, স্পেনের ‘না’ ইসরায়েলের জন্য অস্ত্রবাহী জাহাজকে বন্দরে ভিড়তে দিলো না স্পেন ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গাজায় গণহত্যার মামলায় যোগ দেবে স্পেনকিছুদিন আগেই ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিয়েছে স্পেন। গাজায় নির্বিচার হত্যাযজ্ঞ চালানোয় ইসরায়েলি সরকারের কঠোর সমালোচনাও করেছে তারা।
Advertisement
ন্যাটো সম্মেলনে পশ্চিমা নেতাদের উদ্দেশ্যে স্প্যানিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা যদি জনগণকে বলি, আন্তর্জাতিক আইন রক্ষার জন্য আমরা ইউক্রেনকে সমর্থন করছি, তাহলে গাজার প্রতিও আমাদের করণীয় একই।
তিনি বলেন, আমাদের একটি ‘সামঞ্জস্যপূর্ণ রাজনৈতিক অবস্থানে’ থাকা উচিত, যেখানে কোনো ‘দ্বিচারিতা’ থাকবে না।
আরও পড়ুন >>
একদিনে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিলো ৩ দেশ ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলায় স্পেনে বিক্ষোভ ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে স্পেনসানচেজ বলেন, ফিলিস্তিনিদের ‘এই ভয়ানক মানবিক সংকট বন্ধ করতে’ বিশ্বকে চাপ দেওয়া দরকার। এসময় ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের জন্য একটি আন্তর্জাতিক শান্তি সম্মেলনের আহ্বান জানান স্প্যানিশ প্রধানমন্ত্রী।
Advertisement
তিনি বলেন, আমাদের অবিলম্বে এবং জরুরিভিত্তিতে যুদ্ধবিরতির জন্য শর্ত তৈরি করতে হবে। লেবাননে সংঘাত বৃদ্ধির ‘সত্যিকারের ঝুঁকি’ রয়েছে।
স্প্যানিশ প্রধানমন্ত্রী জানান, তিনি ‘গণতন্ত্র, স্বাধীনতা এবং ইউক্রেনের মতো একটি দেশের অস্তিত্বের অধিকারকেও সমর্থন করেন’।
সূত্র: এএফপিকেএএ/