একদিনেই তাইওয়ানের আকাশে অনুপ্রবেশ করেছে চীনের ৬৬টি যুদ্ধবিমান। তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার জানিয়েছে যে, তারা তাদের দ্বীপের চারপাশে ২৪ ঘণ্টায় ৬৬টি চীনা সামরিক বিমানের উপস্থিতি শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছে, যা চলতি বছরের সর্বোচ্চ রেকর্ড।
Advertisement
এএফপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে, এ ঘটনার মাত্র একদিন আগেই তাইওয়ানের কাছাকাছি সামরিক মহড়াও চালিয়েছে বেইজিং।
এর আগে বুধবার তাইপের চারপাশে চীনা বিমানের উপস্থিতি শনাক্ত হয়। সে সময় বেইজিং দাবি করেছিল যে, ওই যুদ্ধবিমান পিএলএ বিমানবাহী রণতরী শানডংয়ের সঙ্গে অনুশীলনের জন্য পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরের দিকে যাচ্ছিল।
এদিকে বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় দ্বীপের আশেপাশে ৬৬টি পিএলএ যুদ্ধবিমান এবং সাতটি চীনা জাহাজ শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৫৬টি যুদ্ধবিমান সংবেদনশীল মধ্যরেখা অতিক্রম করেছে।
Advertisement
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করেছে যে, তারা পরিস্থিতি নজরে রাখছে এবং এর উপযুক্ত প্রতিক্রিয়া দেখানো হবে।
এর আগে গত মে মাসে দ্বীপটির চারপাশে চীনের ৬২টি যুদ্ধবিমান এবং ২৭টি জাহাজ ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়। তাইওয়ান নিজেদের স্বাধীন দ্বীপ মনে করলেও চীন বরাবরই একে তাদের মূল ভূখণ্ডের অংশ বলেই মনে করে।
প্রায় প্রতি মাসেই তাইওয়ানের আকাশসীমায় প্রবেশ করছে চীনের সামরিক বিমান। যদিও সরাসরি কখনও কোনো সামরিক অভিযানে তারা অংশ নেয়নি। কিন্তু এটা তাইওয়ানের জন্য বড় ধরনের একটি অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: তাইওয়ানের চারপাশে ঘুরছে চীনের ৩০টি সামরিক বিমান তাইওয়ানে ৭.৪ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পগত এপ্রিলে তাইওয়ানের চারপাশে চীনের প্রায় ৩০টি সামরিক বিমানের উপস্থিতি ধরা পড়ে। এছাড়া গত মার্চেও ৩২টি চীনা যুদ্ধবিমানের উপস্থিতি ধরা পড়ে। তবে গত বছরের সেপ্টেম্বরে সর্বোচ্চ চীনা বিমানের উপস্থিতি শনাক্ত হয়। সে সময় তাইওয়ানের আকাশে ১০৩টি চীনা বিমান অনুপ্রবেশ করে, যার মধ্যে ৪০টি তাইওয়ান প্রণালির মধ্যরেখা অতিক্রম করেছিল।
Advertisement
টিটিএন