ফরিদপুরের সালথায় পরকীয়া প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে গণপিটুনির শিকার হয়েছেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মো. সবুজ সরদার। তাকে দলীয় পদ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। তিনি ফরিদপুরের সালথা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি ছিলেন।
Advertisement
বুধবার (১০ জুলাই) সন্ধ্যায় সালথা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি রাকিবুল হাসান জুয়েল ও সাধারণ সম্পাদক মো. কামাল হোসেন সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, সংগঠনের শৃঙ্খলা, নীতি ও আদর্শ পরিপন্থি কার্যকলাপের জড়িত থাকার অভিযোগে সালথা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি মো. বুলবুল হাসানকে (সবুজ সরদার) তার সাংগঠনিক পদ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হলো। সেই সঙ্গে স্থায়ীভাবে তাকে বহিষ্কারের জন্য ফরিদপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ কমিটির কাছে প্রেরণ করা হলো।
সালথা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি রাকিবুল হাসান জুয়েল বলেন, সবুজ দলীয় আদর্শের তোয়াক্কা না করে নানা অপকর্ম ও পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। তার এসব কর্মকাণ্ড নিয়ে ফেসবুকসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি কেন্দ্রীয় ও জেলা কমিটির নজরে আসে। পরে ঘটনার সত্যতা যাচাই-বাছাই করতে জেলা কমিটির পক্ষ থেকে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি করা হয়। সেই কমিটি তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পাওয়ার পর তাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।
Advertisement
জানা গেছে, অভিযুক্ত সবুজ সরদারের স্ত্রী ও দুটি সন্তান রয়েছে। তারপরও তিনি অপর এক নারীর সঙ্গে পরকীয়া করেন। ৬ জুলাই সকালে ওই নারীর সঙ্গে দেখা করতে গেলে গ্রামবাসী তাকে ধরে ফেলে। পরে তাকে চেয়ারে বেঁধে গণপিটুনি দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সবুজ সরদার বলেন, স্থানীয় বিরোধের জেরে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আমার সঙ্গে এই আচরণ করা হয়েছে।
এন কে বি নয়ন/জেডএইচ/
Advertisement