সোশ্যাল মিডিয়া

জড়িত ক্যাডারদের তালিকা চান নেটিজেনরা

বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) প্রশ্নফাঁস নিয়ে চলছে আলোচনা। গত একযুগে ৩০টি নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসে জড়িত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (বিপিএসসি) কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এসব ফাঁস করা প্রশ্নে পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন অনেকেই। অনেকে এখন বিভিন্ন ক্যাডারে চাকরি করছেন।

Advertisement

যারা টাকার বিনিময়ে ফাঁস হওয়া প্রশ্নে উত্তীর্ণ হয়ে চাকরি করছেন; প্রশ্নফাঁস-কাণ্ডে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসায় তারা রয়েছেন আতঙ্কে। এদিকে এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে কঠোর সমালোচনা। নেটিজেনরা চাইছেন তাদের নামের তালিকা। বিভিন্ন পোস্ট এবং মন্তব্যে উঠে এসেছে বিষয়টি।

এ বিষয়ে হাসিবুল হাসান লিখেছেন, ‘সব বলে দিয়েছেন আবেদ আলী, তালিকা হচ্ছে সেই বিসিএস ক্যাডারদের। বিষয়টি খুবই ভয়ংকর! খুবই দরকার জনসম্মুখে প্রকাশ হওয়া!’

নুসরাত সুলতানা লিখেছেন, ‘২৭তম বিসিএসের প্রশ্ন সবাই পেয়েছিল। আমি তখন নীলক্ষেত স্টাফ কোয়ার্টারে সাবলেট থাকি। আমি নিষেধ করেছিলাম প্রশ্ন পেলেও যেন আমাকে না দেয়। প্রশ্ন পেয়ে আমি চান্স পেতে চাই না। সেদিন যারা প্রশ্ন পেয়েছিল তাদের ভেতর দুজন অ্যাডমিন ক্যাডার এবং একজন ফরেন অ্যাফেয়ার্স ক্যাডার। যদিও অ্যাডমিন ক্যাডার দুজনকে নিয়ে আরও গল্প শুনেছি। কিন্তু এও সত্য তিনজনই মেধাবী। পরে আমি ডিফেন্স অফিসার হিসেবে এমআইএসটি জয়েন করি। আজ আফসোস করবো না আনন্দ করবো, বুঝতে পারছি না।’

Advertisement

আরও পড়ুনকলকাতার ‘দেশ’ পত্রিকার প্রচ্ছদ নিয়ে বিতর্কদুজন ভয়ংকর মেডিকেল শিক্ষার্থীর গল্প

আরিফ জেবতিক লিখেছেন, ‘শুনেছি আবেদ আলী সবার নাম বলে দিয়েছে। আমার ধারণা সে ৪০-৫০ জনের নাম বলবে। আর ৫০০-৬০০ জনকে বলবে ১০ লাখ করে টেকা দে। নইলে নাম কিন্তু বলে দেবো। আরও ৫০-৬০ কোটি ইজি মানি, রিপিট কাস্টমার।’

ওয়ালী উল্লাহ ছোটন লিখেছেন, ‘বিসিএস ক্যাডাররা এমন একটা পরিস্থিতিতে আছে, স্বাভাবিক কোনো পোস্টও করতেছে না ভয়ে!’

ফেরারী শিমুল লিখেছেন, ‘যে দেশে গুণীজনদের কদর হয় না; সে দেশে গুণীজন সৃষ্টি হয় না। একাধিক ধাপ অতিক্রম করে একজন মানুষ ক্যাডার হলো। অথচ প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় তাকে কলঙ্কিত করা হচ্ছে।’

মাসুমা রুমা লিখেছেন, ‘কয়েকবার বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে, ভাইভা দিয়েও যখন খালি হাতে ফিরতে হয়েছে; তখন নিজের যোগ্যতা নিয়ে নিজের কাছেই প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছি। কাউকে এ যন্ত্রণা বোঝাতে পারিনি। হ্যাঁ, এটা সত্যি যে, যতটুকু চেয়েছি; ততটুকু প্রস্তুতি নিতে পারিনি অসুস্থতাজনিত কারণে। তবে চেষ্টা করেছি। যারা পরিশ্রম করে সততার সাথে লক্ষ্যে পৌঁছাতে পেরেছেন, ভাগ্য যাদের সহায় ছিল তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি। তবে যারা অসদুপায় অবলম্বন করে আমার মতো অনেকের স্বপ্ন ও পরিশ্রমকে বৃথা করে দিয়েছেন, তদন্তসাপেক্ষে তাদের প্রত্যেকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। আগামীতে আর কোনো শিক্ষার্থীর স্বপ্ন যেন এসব দুর্নীতিবাজদের কালো ছায়ার কাছে পরাজিত না হয় এমনটাই প্রত্যাশা আমার। শতভাগ স্বচ্ছ ও কোটামুক্ত বিসিএস পরীক্ষায় আগামীতে অংশগ্রহণ করতে চাই এটাই চাওয়া।’

Advertisement

এসইউ/জেআইএম