দাম বাড়ার তালিকায় যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট নাম লিখিয়েছে, তার প্রায় তিনগুণের দাম কমেছে। এরপরও মূল্যসূচকের খুব বড় পতন হয়নি। মূল্যসূচককে বড় পতনের হাত থেকে রক্ষা করেছে ব্যাংক খাত।
Advertisement
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস বুধবার (১০ জুলাই) অন্যান্য খাতের সিংহভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমলেও বিপরীতে পথে হেঁটেছে ব্যাংক কোম্পানিগুলো। অধিকাংশ ব্যাংকের শেয়ার দাম বাড়ায় সূচকের বড় পতন দেখতে হয়নি বিনিয়োগকারীদের।
প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে, কমেছে প্রায় তার দ্বিগুণের। এরপরও বাজারটির প্রধান মূল্যসূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট। তবে লেনদেনের গতি কিছুটা কমেছে।
আরও পড়ুন ডিএসইতে হাজার কোটি টাকা ছাড়ালো লেনদেনঅপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) দাম কমার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। এরপরও এই বাজরটিতেও ব্যাংকের কল্যাণে সূচকের বড় পতন হয়নি। সেইসঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ।
Advertisement
এদিন শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেনের শুরুতেই ডিএসইর প্রধান সূচক ১০ পয়েন্ট বেড়ে যায়। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার ধারা অব্যাহত থাকায় লেনদেনের এক পর্যায়ে ডিএসইর প্রধান সূচক ৩৮ পয়েন্ট বেড়ে যায়।
লেনদেনের প্রথম তিন ঘণ্টা বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার ধারা অব্যাহত থাকে। কিন্তু দুপুর ১টার পর থেকে একের পর এক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমতে থাকে। ব্যাংক বাদে অন্যান্য খাতগুলোর সিংহভাগ প্রতিষ্ঠান দাম কমার তালিকায় চলে আসে। ফলে সবকটি মূল্যসূচক কমেই দিনের লেনদেন শেষ হয়।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ৯৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ২৬৬টি প্রতিষ্ঠানের। আর ৩০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এই পতনের মধ্যে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ২২টি ব্যাংক। বিপরীতে ৫টি ব্যাংকের শেয়ার দাম কমেছে।
আরও পড়ুন ব্যাংকখাতে খেলাপি ঋণ কমাতে ‘এক্সিট সুবিধা’এতে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স ২৬ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৫৬৮ পয়েন্টে নেমে গেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৩ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২১৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৬ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৯৫৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
Advertisement
এদিকে দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৯৬৭ কোটি ২২ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ১ হাজার ১৯ কোটি ৮ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন কমেছে ৫১ কোটি ৮৬ লাখ টাকা।
এই লেনদেনে সব থেকে বেশি অবদান রেখেছে বিচ হ্যাচারির শেয়ার। কোম্পানিটির ৩৯ কোটি ১৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ওরিয়ন ফার্মার ৩০ কোটি ৯৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ২৮ কোটি ৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে সি পার্ল বিচ রিসোর্ট।
আরও পড়ুন চাহিদা কমেছে, দেশে বড় বিনিয়োগ ‘স্থগিত করেছে’ কোকা-কোলাএছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং, স্যালভো কেমিক্যাল, জেএমআই হসপিটাল, লাভেলো আইসক্রিম, এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ, ফারইস্ট নিটিং এবং আফতাব অটোমোবাইল।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্য সূচক সিএএসপিআই কমেছে ৩ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২৮৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১০৪টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৫৩টির এবং ২৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৪২ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ১১ কোটি ২ লাখ টাকা।
এমএএস/এসএইচএস/জিকেএস