জাতীয়

গুলিস্তান জিরো পয়েন্ট অবরোধ শিক্ষার্থীদের, যান চলাচল বন্ধ

রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকা গুলিস্তানের জিরো পয়েন্ট মোড় অবরোধ করেছে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয় ঘেষা জিরো পয়েন্ট মোড় দিয়ে বিভিন্ন গন্তব্যে চলাচলকারী সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন হাজার হাজার যাত্রী।

Advertisement

বুধবার (১০ জুলাই) সকাল ১০টার পর শিক্ষার্থীরা জিরো পয়েন্ট মোড় দখলে নেন। তারা জিরো পয়েন্টের নূর হোসেন চত্বরকে ঘিরে সড়কগুলো বন্ধ করে অবস্থান নিয়েছেন। শিক্ষার্থীরা চারপাশে বৃত্তাকারে বসে পড়েছেন। একদল বৃত্তের ভেতরে রিকশায় থাকা মাইক নিয়ে ঘুরে ঘুরে স্লোগান দিচ্ছেন।

তারা বলছেন, ‘রাষ্ট্রের সংস্থার চলছে, সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখিত’ এবং কোটাবিরোধী নানা স্লোগান দিচ্ছেন। তবে অসুস্থ রোগীবাহী কোনো যানবাহন কিংবা অ্যাম্বুলেন্সকে তারা যাওয়ার সুযোগ দিচ্ছেন।

আরও পড়ুন

Advertisement

হাইকোর্টের রায়ে স্থিতাবস্থা, কোটা বাতিলের পরিপত্র বহাল শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফিরে যাওয়ার আহ্বান প্রধান বিচারপতির শাহবাগে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের অবস্থান সায়েন্সল্যাব অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা, যান চলাচল বন্ধ

রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, সায়েদাবাদ শ্যামপুর, জুরাইন, পুরোনো ঢাকার লোকজন ঢাকার অন্যান্য অংশের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য জিরো পয়েন্ট মোড় ব্যবহার করে থাকেন। বিভিন্ন দিক থেকে আসা গাড়িগুলোকে জিরো পয়েন্টের আশপাশের সড়কে থেমে থাকতে দেখা গেছে।

শিক্ষার্থীদের জিরো পয়েন্ট মোড় অবরোধ করার পর গুলিস্তানে মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারের থেকে নামা গাড়িগুলোকে টোল প্লাজা থেকে কিছুটা সামনে আটকে দেওয়া হয়েছে। কোনো গাড়ি সামনে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। তবে ইউটার্ন নিয়ে ফের ফ্লাইওভারে উঠতে কিংবা বঙ্গভবনের দিকে চলে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।

কোটা সংস্কারের আন্দোলনে ঘোষিত এক দফা কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আজ ঢাকাসহ সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা সর্বাত্মক ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি পালনের ডাক দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। আন্দোলনকারীরা সরকারি চাকরির সব গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লিখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটাকে ন্যূনতম মাত্রায় এনে সংসদে আইন পাস করে কোটাপদ্ধতি সংস্কারের দাবি জানিয়েছে।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা গান গেয়ে, কবিতা আবৃত্তির সঙ্গে স্লোগান দিয়ে যাচ্ছেন ক্রমাগত।

Advertisement

গুলিস্তান মোড়ে পল্টনের অংশে খালি গাড়িতে বসে গান শুনছিলেন ড্রাইভার মো. শাওন এবং সহযোগী সাইফুল ইসলাম। চালক শাওন বলেন, বেলা ১১টা থাইকা এহানে বইসা আছি। বাস আটকে দেওয়ার পর যাত্রীরা সব নাইমা গেছে। তবে ছাত্ররা বাসের কোনো ক্ষতি করেনি।‌ কখন এহান থেকে মুক্তি পামু আল্লাহই জানে।

যাত্রাবাড়ী থেকে কারওয়ান বাজার যাওয়ার জন্য বাসে উঠেছিলেন শরিফুল ইসলাম। তিনি গুলিস্তানে নেমে হাঁটছিলেন। শরিফুল বলেন, গুলিস্তান নেমে দেখি গাড়ি আর সামনে যায় না। পরে শুনলাম ছাত্ররা অবরোধ করছে। এখন সামনে হেঁটে গিয়ে দেখি কোনো গাড়ি পাই কিনা, নাহলে তো কারওয়ান বাজার হেঁটেই যেতে হবে।

আরএমএম/এমআরএম/এএসএম