চট্টগ্রামে ফিরোজ আহম্মেদ নামে বিদ্যুৎ কর্মচারীকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ে জড়িত মো. সৈয়দুল করিম (২৬) এবং মো. আরমান আলী রাজ (২৬) নামে চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
Advertisement
সোমবার রাতে নগরীর বায়েজিত বোস্তামী থানার পাহাড়িকা আবাসিক ও রৌফাবাদ এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে পুলিশ।
গ্রেফতারদের মধ্যে সৈয়দুল করিম কক্সবাজারের মহেশখালী থানার গোড়কঘাটা গ্রামের মৃত সফিকের ছেলে এবং আরমান আলী নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানার বার্মা কলোনির আমানত আলীর ছেলে। তাদের মঙ্গলবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয় বলে জানিয়েছেন বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওসি সনজয় কুমার সিনহা।
ওসি বলেন, গত শনিবার রাতে খুলশী বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ কেন্দ্রের নিম্নমান হিসাব সহকারী ফিরোজ আহমেদ কর্মস্থল থেকে বাসায় ফেরার পথে টেক্সটাইল মোড় এলাকায় ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েন। এ সময় ছিনতাইকারীরা তাকে ছোরার ভয় দেখিয়ে একটি সিএনজি অটোরিকশায় তুলে অপহরণ করে পাহাড়িকা আবাসিকের একটি নির্মাণাধীন ভবনে নিয়ে আটকে রাখে।
Advertisement
আরও পড়ুন
পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ লাখো মানুষ যাত্রী সেজে অটোরিকশাচালককে অপহরণ, হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধারএ সময় ফিরোজ আহমেদের মোবাইল এবং নগদ ১৮ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় ছিনতাইকারীরা। এরপর তাকে মারধর করে আরও দেড় লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। আহমেদ তার পরিবার ও নিকটাত্মীয়দের ফোন করে বিকাশের মাধ্যমে সাত হাজার টাকা এনে ছিনতাইকারীদের দেয়। পাশাপাশি একটি ব্যাংকের ডেবিট কার্ড ও বিকাশ থেকে আরও ১১ হাজার দুইশ টাকা ট্রান্সফার করে নিয়ে ছেড়ে দেয়।
ওসি বলেন, অপহরণকারীদের কাছ থেকে মুক্তি পেয়ে ফিরোজ আহমেদ থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়। এরপর তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় আসামিদের চিহ্নিত করে সোমবার রাতে দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়। মোবাইল ও নগদ এক হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় আরও দুইজন জড়িত বলে গ্রেফতাররা স্বীকার করেছে। গ্রেফতার সৈয়দুল করিম ও আরমান আলীর বিরুদ্ধে নগরীর বিভিন্ন থানায় মারামারি, ছিনতাই, মাদক, অস্ত্র আইনে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে বলে জানান ওসি।
Advertisement
এমডিআইএইচ/এমআরএম/এএসএম