সরকার দেশকে রসাতলে নিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
Advertisement
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) রাজধানীর নয়াপল্টনে মহানগর বিএনপি কার্যালয়ে এক দোয়া মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন।
দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আরোগ্য কামনায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর বিএনপি এই দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে। ওলামা দলের আহ্বায়ক মাওলানা কাজী সেলিম রেজা দোয়া পরিচালনা করেন।
মাহফিলে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা জানি, আওয়ামী লীগ যখন এর আগেও একদলীয় বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছে। আর আজ ভিন্ন চেহারাতে একটু ছদ্মবেশ ধারণ করে গণতন্ত্রের কথা বলে তারা গণতন্ত্রকে ধবংস করে দিয়েছে। লক্ষ্য করে দেখুন এই গণতন্ত্রকে ধ্বংস করতে গিয়ে তারা নির্বাচনকে ধবংস করেছে, দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে, প্রশাসনকে পুরো দলীয়করণ করেছে। এমন কোনো গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান বাকি নেই যেগুলো তারা ধবংস করেনি।
Advertisement
তিনি বলেন, দেশ রসাতলে যাচ্ছে। এই আওয়ামী লীগ সরকার যতদিন ক্ষমতায় থাকবে বাংলাদেশ আরও দ্রুত ততই রসাতলে যাবে। এই সরকার যতদিন ক্ষমতায় থাকবে আমাদের স্বাধীনতা থাকবেন না, আমাদের সার্বভৌমত্ব থাকবে না, আমাদের অর্থনীতি ধবংস হয়ে যাবে, শিক্ষাব্যবস্থা ধবংস হয়ে যাবে। এমন একটা বিষয় নেই যা আজ ধবংস হয়ে যায়নি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমাদের এখন যেটা দরকার, সবার মধ্যে ঐক্য গড়ে তোলা। সেই ঐক্যের মধ্যদিয়ে আন্দোলন বেগবান করা, আরও শক্তিশালী করা এবং রাজপথে আন্দোলনের মধ্যদিয়ে এদের পরাজিত করা।
তিনি বলেন, দেশনেত্রীর মুক্তি, এটাকে আলাদা করে দেখার কোনো কারণ নেই। দেশনেত্রীর মুক্তি, এই দেশের মুক্তি, গণতন্ত্রের মুক্তি। সবকিছুর মূলে একটা আছে সেটা আওয়ামী লীগ। এই আওয়ামী লীগকে যদি আমরা সরাতে পারি তাহলে সবগুলো বিষয় আমরা ফিরিয়ে আনতে পারবো। আসুন সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করি। ইনশাল্লাহ, আমরা সবাই যদি ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করি, কেউ আমাদের পরাজিত করতে পারবে না।
এ সময় নবগঠিত মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি এবং যুবদলের নেতাদের অভিনন্দন জানান বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, আমরা আশা করবো ঢাকা মহানগরের নতুন কমিটির নেতৃত্বে সংগঠন আরও শক্তিশালী হবে এবং এই সরকারকে পরাজিত করতে ভূমিকা রাখবে।
Advertisement
আরও পড়ুন
সিসিইউতে খালেদা জিয়া খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ‘নতুন কর্মসূচি’ আসছে যুবদলের নতুন কমিটির সভাপতি মুন্না, সাধারণ সম্পাদক নয়নমাহফিলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, দেশনেত্রীর মুক্তি ছাড়া এ দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক মুক্তি হবে না। দেশের যে অবস্থা, এই অবস্থায় মানুষের কোনো কথাই সরকার কর্ণপাত করছে না। তারা তাদের মতো করে চলছে, তাদের মতো করে কথা বলছে।জনগণের কথা তারা বোঝে না। আমরা তাদের ভাষা বুঝতে পারি না।
তিনি বলেন, আমরা বাংলায় কথা বলি, আমরা বাংলার মানুষ, সবসময় আমরা প্রতিবাদে বিশ্বাসী, পরাধীনতায় বিশ্বাসী নই, এই কথাটা সবাইকে মনে রাখতে হবে। এই কথা মনে রেখে নিজেকে সবসময়ের জন্য স্বাধীন-মুক্ত রাখার জন্য, দেশকে স্বাধীন-সার্বভৌম রাখার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
মিলাদ মাহফিলে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, আবদুস সালাম আজাদ, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, কেন্দ্রীয় নেতা মীর সরাফত আলী সপু, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, মহানগর দক্ষিণের সভাপতি রফিকুল আলম মজনু, সদস্যসচিব তানভীর আহমেদ রবিন, উত্তরের আহ্বায়ক সাইফুল আলম নিরব, সদস্যসচিব আমিনুল হক, যুবদলের নবনির্বাচিত সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না, সিনিয়র সহ-সভাপতি রেজাউল করীম পল, সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
কেএইচ/ইএ/এএসএম