জাতীয়

মতিউরের পরিবার ও রিসোর্টের তথ্য চেয়ে দুদকের চিঠি

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের আলোচিত সদস্য মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) এবং পাসপোর্টের তথ্য চেয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) এবং পাসপোর্ট অফিসে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

Advertisement

মঙ্গলবার (৯ জুলাই) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে পাঠানো চিঠিতে মতিউর রহমান, তার দুই স্ত্রী ও পাঁচ সন্তানের নাম উল্লেখ পৃথক পৃথক চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়। দুদকের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

এছাড়া মতিউর রহমানের পিকনিক স্পট আপন ভুবনের তথ্য চেয়ে গাজীপুর জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও অ্যাসিল্যান্ডকে চিঠি দিয়েছে দুদক। তাদের কাছে পিকনিক স্পটের নামজারিসহ বিস্তারিত নথি চাওয়া হয়েছে।

এর আগে অঢেল সম্পদের মালিক মতিউর ও তার পরিবারের নামে থাকা চারটি ফ্ল্যাট ও ৮৬৬ শতাংশ স্থাবর সম্পত্তি জব্দ করার আদেশ দেন আদালত। এছাড়া দেশত্যাগেও নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত। অবৈধ সম্পদের প্রমাণ মেলায় তার পরিবারের সম্পদের হিসাব দাখিলের নোটিশও জারি করেছে দুদক।

Advertisement

গত ২ জুলাই মতিউর ও তার দুই স্ত্রী ও দুই সন্তানের সম্পদের বিবরণ জমা দিতে নোটিশ দিয়েছিল। এর আগে ৩০ জুন মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা সম্পদের খোঁজে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে নথিপত্র চেয়ে চিঠি দিয়েছিল দুদক।

মতিউর রহমানের দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের তথ্য অনুসন্ধানে গত ২৩ জুন তিন সদস্যের টিম গঠন করে দুদক। সংস্থাটির উপপরিচালক আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্ব কাজ করছে টিম। গত ৪ জুন তার বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ জমা হওয়ার পর কমিশনের পক্ষ থেকে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানা যায়।

এ বিষয়ে দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমিন বলেন, এনবিআরের সদস্য ড. মো. মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানে টিম গঠন করার পর কাজ শুরু করেছে।

মতিউর রহমানের ছেলে ইফাত মোহাম্মদপুরের সাদিক অ্যাগ্রো থেকে ১৫ লাখ টাকায় একটি ছাগল এবং ঢাকার বিভিন্ন খামার থেকে ৭০ লাখ টাকার গরু কিনেছেন বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও গণমাধ্যমে উঠে আসে।

Advertisement

এরপর থেকে মতিউর রহমানের ছেলের দামি ব্র্যান্ডের ঘড়ি, গাড়ি, আলিশান জীবনযাপন, মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে রিসোর্ট, শুটিং স্পট, বাংলো বাড়ি, জমিসহ নামে-বেনামে সম্পত্তি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়।

এসএম/এমএএইচ/এমএস