আইন-আদালত

কোটার বিষয়ে আপিল বিভাগে পক্ষভুক্ত হতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আবেদন

সরকারি চাকরিতে (৯ম থেকে ১৩তম গ্রেড) মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিলে পক্ষভুক্ত হওয়ার জন্য সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছে।

Advertisement

আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত বিষয়টি নিয়ে শুনানি হতে পারে আজ। আদালতে আবেদনকারী সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি আল সাদী ভূঁইয়ার পক্ষে রয়েছেন সিনিয়র আইনজীবী শাহ মনজুরুল হক।

সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসুর সূর্য সেন হলের সাবেক সাহিত্য সম্পাদক, নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ও সাংবাদিক সমিতির সভাপতি আল সাদী ভূঁইয়াসহ ২ জন এ আবেদন করেন। তার সঙ্গে উর্দু বিভাগের শিক্ষার্থী আহনাফ সাঈদ খান রয়েছেন।

সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষের অপর আইনজীবী ব্যারিস্টার মো.হারুনুর রশীদ জানিয়েছেন, হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে যে আবেদন করেছে, তা বিচারাধীন। এটি থাকা অবস্থায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন মিলে চেম্বার কোর্টের অনুমতি নিয়ে একটি সিএমপি (হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে) ফাইল করছেন। এটি আজ চেম্বার আদালতে শুনানি হবে।

Advertisement

আরও পড়ুন কোটা বাতিলের পর সরকারি নিয়োগে নারীর অবস্থান কোথায়?  অবরোধ তুলে নিয়েছেন শিক্ষার্থীরা, মঙ্গলবার গণসংযোগ 

সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের আন্দোলনের পর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর নবম থেকে ১৩তম গ্রেড পর্যন্ত সরাসরি নিয়োগে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে একটি পরিপত্র জারি করে। সেখানে বলা হয়, ৯ম গ্রেড (পূর্বতন ১ম শ্রেণি) এবং ১০ম-১৩তম গ্রেড (পূর্বতন ২য় শ্রেণি) পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধাতালিকার ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে হবে। ওই পদসমূহে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি বাতিল করা হলো। যেখানে নারী কোটা ১০ শতাংশ, মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩০ শতাংশ এবং জেলা কোটা ১০ শতাংশ, উপজাতি ৫ ও প্রতিবন্ধীর ১ শতাংশ কোটা বাতিল করা হয়।

এই পরিপত্রের মুক্তিযোদ্ধা ৩০ শতাংশ চ্যালেঞ্জ করে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সভাপতি অহিদুল ইসলাম তুষারসহ সাতজন হাইকোর্টে রিট করেন। সে রিটের শুনানি নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা ৩০ শতাংশ কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। সে রুল যথাযথ ঘোষণা করে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ বলে গত ৫ জুন রায় দেন হাইকোর্ট। এই রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করলে ৪ জুলাই পর্যন্ত হাইকোর্টের রায় বহাল রেখে বিষয়টি আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য নির্ধারণ করেন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের চেম্বার জজ আদালত।

পরবর্তী সময় ৪ জুলাই বিষয়টি আপিল বিভাগে শুনানির জন্য আসে। তবে ওইদিন রিটের পক্ষের আইনজীবী না থাকায় তার পক্ষে সময় চাইলে সর্বোচ্চ আদালত শুনানি ‘নট টুডে’র আদেশ দেন।

এফএইচ/এসএনআর/জিকেএস

Advertisement