ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরজুড়ে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। সোমবারের এসব হামলায় কমপক্ষে ৩৭ জন নিহত হয়েছে। বেসামরিক নাগরিকদের ওপর এমন একযোগে হামলার ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে কিয়েভ। এএফপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
Advertisement
কিয়েভের একটি হাসপাতালেও হামলা চালানো হয়েছে। হাসপাতালের কর্মী, উদ্ধারকর্মীসহ কয়েক ডজন স্বেচ্ছাসেবক ওখমাদিত পেডিয়াট্রিক হাসপাতালের ধ্বংসাবশেষ থেকে লোকজনকে উদ্ধারে কাজ করছেন। একসঙ্গে একাধিক স্থানে এমন ভয়াবহ হামলার ঘটনা এর আগে ঘটেনি।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, রাজধানী কিয়েভ এবং দক্ষিণ ও পূর্ব ইউক্রেনের পাঁচটি শহরে কয়েক ডজন ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে রাশিয়া।
তিনি বলেন, কমপক্ষে ৩৭ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে তিনজন শিশুও রয়েছে। এছাড়া আরও ১৭০ জন আহত হয়েছে বলেও জানা গেছে।
Advertisement
তিনি আরও জানিয়েছেন, রাশিয়ার একযোগে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বেশ কিছু স্কুল এবং একটি প্রসূতি হাসপাতালসহ প্রায় শতাধিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইউক্রেনের বিমান বাহিনী জানিয়েছে, তাদের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ৩০টি প্রজেক্টাইল মিসাইল ভূপাতিত করেছে।
ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলনের আগে জেলেনস্কি জোর দিয়ে বললেন, রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করা প্রয়োজন। রুশ যুদ্ধবিমান ধ্বংস করা প্রয়োজন। নিরাপত্তার কোনো ঘাটতি থাকবে না এমন দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। ইউক্রেনের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় আরও সহায়তা দেওয়ার বিষয়টি ন্যাটোর আলোচ্যসূচির শীর্ষে থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে জরুরি বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছেন জেলেনস্কি। এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সোমবার ইউক্রেনের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদারে নতুন সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
বাইডেন বলেন, ইউক্রেনের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে, তাদের শহর এবং বেসামরিক নাগরিকদের রাশিয়ার হামলা থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করার জন্য নতুন ব্যবস্থা ঘোষণা করব আমরা।
Advertisement
টিটিএন