ক্যাম্পাস

আজও সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে ঢাবি শিক্ষকরা, বন্ধ ক্লাস-পরীক্ষা

সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে আজও সর্বাত্মক কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শিক্ষক সমিতি।

Advertisement

সোমবার (৮ জুলাই) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের মূল ফটকের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষকরা।

এর আগে গত ১ জুলাই থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতি শুরু করেন ঢাবি শিক্ষকরা। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা করা হয়। প্রত্যয় স্কিম প্রত্যাহার না হলে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথাও জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নেতারা।

ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূঁইয়া বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে এই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু কারা আমাদের আন্দোলনে নামিয়েছে? আমরা মনে করি তারা রাষ্ট্রের ভেতরে ঘাপটি মেরে থাকা লোক, যারা ২০১৫ সালেও আমাদের বিরুদ্ধে লেগেছিল। সেবছর তারা আমাদের সঙ্গে পেরে ওঠেনি তাই এ বছরও তারা আমাদের পেছনে লেগেছে। তারা আমাদের সঙ্গে আলোচনা না করেই একটি সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিয়েছে। এটা সম্পূর্ণ অন্যায় ও অন্যায্য।

Advertisement

আরও পড়ুন ঢাবি কর্মচারী ঐক্য পরিষদের বিক্ষোভ-সমাবেশ চলছেই

তিনি বলেন, এ নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা বলেছিলাম এই স্কিম বাতিল করুন না হলে আমরা কর্মবিরতি শুরু করবো কিন্তু তারা দাবি মানেননি। ফলে আমরা অর্ধদিবস কর্মবিরতি করেছি, পরে পূর্ণদিবস করেছি। এরপর আমরা এই সর্বাত্মক কর্মবিরতি শুরু করেছি। যেহেতু আমরা এই আন্দোলন শুরু করেছি সফলতা আসার আগে আমরা ক্লাসে ফিরবো না।

ঢাবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে তিন দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি ও কর্মবিরতি করে যাচ্ছি। কিন্তু আমাদের দাবি মানার কোনো অবস্থা দেখছি না। দাবি আদায়ের আগ পর্যন্ত পিছু হটবো না। বিজয় নিয়েই ক্লাসরুমে ফিরে যাবো।

অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক গত ১৩ মার্চ জারিকৃত সর্বজনীন পেনশন স্কিম সংক্রান্ত ‘বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন’ প্রত্যাহার এবং পূর্বের পেনশন স্কিম চালু রাখার দাবিতে গত ২০ মে সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন। তার ধারাবাহিকতায় ২৬ মে বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারাদেশের ৩৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ে একযোগে মানববন্ধন করেন শিক্ষকরা।

এরপর ২৮ মে দুই ঘণ্টা এবং ২৫-২৭ জুন তিনদিন অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করা হয়। পরে ৩০ জুন পূর্ণ কর্মবিরতি পালন করা হয় এবং ১ জুলাই থেকে থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতি শুরু হয়।

Advertisement

এমএইচএ/এসআইটি/জিকেএস