ভিটামিন সি শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রসায়নের ভাষায় ভিটামিন-সি এর নাম হলো অ্যাসকরবিক অ্যাসিড। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে। পাশাপাশি হাড় ও দাঁতের জন্যও ভিটামিন সি অনেক উপকারী।
Advertisement
এটি ত্বকের টিস্যুর গঠনেও সরাসরি অংশ নেয়। যে কোনো ক্ষত খুব তাড়াতাড়ি সাড়িয়ে তুলতেও এই ভিটামিনের বিকল্প নেই। অ্যান্টি অক্সিডেন্ট হিসাবে ক্ষতিকর ফ্রি রেডিক্যাল থেকেও রক্ষা করে এটি। ভিটামিন সি দাঁত ও মাড়ির স্বাস্থ্যকে ভালো রাখে।
যদিও প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ভিটামিন সি’সমৃদ্ধ ফল ও শাকসবজি রাখলে সহজেই এর দৈনিক চাহিদা পূরণ করা সম্ভব। ভিটামিন সি পানিতে দ্রবণীয় হওয়ায় এটি শরীরে সঞ্চিত থাকে না। এই ভিটামিন প্রয়োজনের অতিরিক্ত গ্রহণ করলে তা প্রস্রাবের মাধ্যমে বেরিয়ে যায়। তাই প্রতিদিনই নির্দিষ্ট পরিমাণে ভিটামিন সি গ্রহণ করা আবশ্যক।
ভিটামিন সি’র ঘাটতির লক্ষণ কী কী? সব সময় ক্লান্ত লাগাআপনার যদি সব সময় ক্লান্ত লাগে কিংবা অল্প কাজেই যদি হাঁপিয়ে ওঠেন তাহলে তা কিন্তু হতে পারে ভিটামিন সি’র ঘাটতির লক্ষণ। তাই ক্লান্তির লক্ষণও অবহেলা করবেন না।
Advertisement
শরীরের বিভিন্ন জয়েন্টে ব্যথার সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। যদি জয়েন্ট ও পেশীর ব্যথায় আপনি মাঝে মধ্যেই ভোগেন, তাহলে এর পেছনে কারণ হতে পারে ভিটামিন সি’র ঘাটতি। এভাবে যন্ত্রণা হলে অবহেলা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
আরও পড়ুন
চিয়া সিড খাওয়া যাদের উচিত নয়জামরুল খেলে মিলবে যত পুষ্টি ক্ষতস্থান শুকাতে দেরি হওয়াভিটামিন সি শরীরে কোলাজেন নামক একটি প্রোটিন উৎপাদনে সাহায্য করে। যদি শরীরে ভিটামিন সি’র ঘাটতি হয় তাহলে এই কোলাজেন সঠিক পরিমাণে উৎপন্ন হয় না। ফলে ক্ষতস্থান শুকাতে দেরি হয়।
রুক্ষ-শুষ্ক ত্বকভিটামিন সি’র ঘাটতি হলে ত্বক খুবই রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে ওঠে। ত্বকের জেল্লা হারিয়ে যায়। নির্জীব হয়ে পড়ে ত্বক।
Advertisement
মুখের স্বাস্থ্য ভালো না হওয়ার কারণে দাঁত কিংবা মাড়িতে ইনফেকশন হতে পারে। তবে মাড়ি থেকে রক্ত পড়া, মুখের ভেতরে ঘা হওয় ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দিলে বুঝবেন শরীরে ভিটামিন সি’র ঘাটতি আছে।
মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা বাড়েভিটামিন সি’র ঘাটতি হলে মানসিক চাপ, অবসাদ মূলত স্ট্রেস বাড়তেতে পারে। তবে এসব লক্ষণ দেখা দেওয়া মানেই ভিটামিন সি’র ঘাটতি হওয়া নয়। তাই নিজে নিজে ওষুধ খেতে যাবেন না। বরং এ জাতীয় উপসর্গ দেখা দিলে সতর্ক হন ও চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
সূত্র: এবিপি লাইভ
জেএমএস/জেআইএম