দেশজুড়ে

বন্যায় বন্ধ কুড়িগ্রামের ৩৪১ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

কুড়িগ্রাম জেলায় বন্যার কারণে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল, মাদরাসা এবং কলেজসহ ৩৪১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করেছে জেলা শিক্ষা অফিস।

Advertisement

রোববার (৭ জুলাই) বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নবেজ উদ্দিন ও মো. শামসুল হক।

জানা গেছে, চলমান বন্যায় চর, দ্বীপচর ও নিম্নাঞ্চলে থাকা ৩৪১ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্লাবিত হওয়ার কারণে যোগাযোগ ব্যবস্থা ও পাঠদানে অনুপযোগী হওয়ায় এ ঘোষণা দেওয়া হয়।

কুড়িগ্রাম সদরের পাঁচগাছী আশরাফিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. নাহিদ হাসান জানায়, গত সাতদিন ধরে রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। ঘরবাড়ি তলিয়ে গেছে। স্কুলের মাঠে কোমরপানি। এ অবস্থায় পড়াশোনা করতে যাবো কীভাবে?

Advertisement

স্থানীয় বাসিন্দা মো. হবিবর রহমান বলেন, চারদিকে পানি, স্কুলে পানি। এ অবস্থায় স্কুল খোলা রাখলেও বাচ্চাদের পাঠানো যাবে না।

ঝাউকুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রুহুল আমীন বলেন, আমাদের স্কুলে বন্যার পানি উঠে গেছে। এছাড়া আশপাশের যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় গত বুধবার (৩ জুলাই) থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিদ্যালয়টির পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে।

আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে ভয়াবহ রূপ নিয়েছে বন্যা

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নবেজ উদ্দিন বলেন, জেলায় বন্যায় প্লাবিত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখা ২৫৩টি। এরমধ্যে ২২০টির পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে।

Advertisement

এছাড়া জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শামসুল হক বলেন, জেলায় চলতি বন্যায় ৭৯টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৩৬টি মাদরাসা এবং ৬টি কলেজের পাঠদান কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আব্দুল হাই সরকার জানান, চলতি বন্যা মোকাবিলায় ৩১৭ মেট্রিকটন চাল, ২১ লাখ ৮৫ হাজার নগদ টাকা ও ১৯ হাজার ৩০ প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

ফজলুল করিম ফারাজী/এমএইচআর