ক্যাম্পাস

শিক্ষক সমিতির সভা থেকে কোটা সংস্কার দাবি

সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিম থেকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি বাতিলের দাবিতে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষকরা। রোববার (৭ জুলাই) পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করেন তারা। তবে এদিন কর্মবিরতির পাশাপাশি অবস্থান সাধারণসভা করেছে শিক্ষক সমিতি। বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবনের নিচতলায় এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

Advertisement

অবস্থান কর্মসূচিতে শিক্ষকদের বক্তব্যে বেশ কয়েকজন শিক্ষক কোটা সংস্কারের দাবি জানান। একইসঙ্গে তারা কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের পক্ষ থেকে বিবৃতি দেওয়ার দাবি করেন। পরে সাধারণসভা থেকে ফেডারেশনের কাছে এ দাবি তুলে ধরার সিদ্ধান্ত হয়।

সভায় শিক্ষকরা বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমাদের নিয়ে বিভিন্ন সমালোচনা করা হচ্ছে। বিশেষ করে ছাত্রদের পক্ষ থেকে এবং সাধারণ মানুষের পক্ষ থেকে। বিষয়গুলো আমাদের বিবেচনায় নেওয়া উচিত। আমরা শিক্ষক, আমাদের বড় স্টেকহোল্ডার ছাত্ররা। ছাত্ররা এখন কোটা নিয়ে জাতীয়ভাবে আন্দোলনে আছে। আমরা জাতির বিবেক হিসেবে ক্রান্তিকালে কয়টা জাতীয় ভূমিকা পালন করেছি? আমরা শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে বা ফেডারেশনের পক্ষ থেকে ছাত্রদের যৌক্তিক দাবির পক্ষে কি বলতে পারতাম না যে কোটার ন্যূনতম সংস্কার চাই?

তারা বলেন, আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান করি। তাদের সন্তানরা কিছু পাক সেটাও আমরা চাই। কিন্তু ৩০ শতাংশের যে অযৌক্তিক একটি সংখ্যা যেটি ছাত্ররা সংস্কার চাচ্ছে আমরা যদি ফেডারেশনের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি দিতাম যে সামগ্রিক কোটা একটি যৌক্তিক জায়গায় আসুক। তাহলে ছাত্র সমাজ আমাদের এ দাবির প্রতি সহানুভূতিশীল হতো। আমাদের এ আন্দোলন থেকে কোনো পরিমাণ বললেও এটা বলা হোক যে একটি যৌক্তিক সংস্কার চাই। শিক্ষকরা কোটা সংস্কারের পক্ষে বক্তব্য প্রদানকালে অন্য শিক্ষকরা করতালি দিয়ে সাধুবাদ জানান।

Advertisement

এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘সাধারণ সভায় শিক্ষকদের অনেকে কোটা সংস্কার আন্দোলনের পক্ষে সংহতি জানিয়েছেন। একইসঙ্গে ফেডারেশনের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে বিবৃতির দাবি এসেছে। আমরা শিক্ষকদের কথাগুলো ফেডারেশনের কাছে তুলে ধরব বলে সভায় সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এছাড়াও সভায় আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।’

মুনজুরুল ইসলাম/আরএইচ/জিকেএস