পোশাক খাতে নারীর ক্ষমতায়নে গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা

পোশাক শিল্পে নারীর ক্ষমতায়নে গণমাধ্যমের ইতিবাচক ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। সেন্টার ফর কমিউনিকেশন অ্যাকশন বাংলাদেশ (সি-ক্যাব)-এর উদ্যোগে রোববার (৭ জুলাই) একটি অংশগ্রহণমূলক কর্মশালায় এই আলোচনা হয়। এসময় কীভাবে গার্মেন্টস শিল্পের নারী শ্রমিকদের জীবন-ঘনিষ্ঠ কাহিনী গণমাধ্যমে উঠে আসতে পারে সেই বিষয়েও আলোচনা করা হয়।

সি-ক্যাব আরও ১৪টি সহযোগী সংস্থার সঙ্গে এইচ অ্যান্ড এম ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে একযোগে নারী গার্মেন্টস কর্মীদের জীবন উন্নয়নে কাজ করে চলেছে। নারীরাও পুরুষদের মতোই সমানভাবে প্রযুক্তি ও পরিচালনা বিষয়ক কাজে অংশ নিতে পারে এই বিষয়ে কমিউনিকেশন বা যোগাযোগ কেন্দ্রিক বিভিন্ন গণসচেতনতামূলক কাজের মাধ্যমে নারী গার্মেন্টস শ্রমিক, তাদের পরিবার এবং কমিউনিটিতে সচেতনতা তৈরিতে সি-ক্যাব কাজ করে যাচ্ছে।

সি-ক্যাবের নির্বাহী পরিচালক এবং কর্মশালার মডারেটর সৈয়দ জেইন আল-মাহমুদ সি-ক্যাব পরিচালিত গবেষণালদ্ধ প্রতিবেদনের আলোকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে ধরেন। এর পাশাপাশি তিনি তৈরি পোশাক শিল্প নিয়ে মিডিয়া যেভাবে প্রতিবেদন তৈরি করছে তাতে কীভাবে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা যায় সেই বিষয়ে বিশদ আলোচনা করেন।

সৈয়দ জেইন আল-মাহমুদ বলেন, গার্মেন্টস সেক্টরের যেসব খবর আমরা গণমাধ্যমে দেখতে পাই সেখানে সাধারণত পোশাক কর্মীদের ভিকটিম হিসেবে তুলে ধরা হয় অথবা তাদের অধিকাংশই মজুরি আন্দোলন, রপ্তানি আয় এবং দুর্ঘটনা সম্পর্কিত। আমাদের দেশের নারী পোশাকর্মীদের জীবনের সংগ্রাম, অটোমেশনের প্রভাবে এ ডিজিটাল যুগে তাদের চাকরি নিয়ে অনিশ্চয়তা, কীভাবে তারা এই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে খাপ খাওয়াতে পারেন এবং কর্মক্ষেত্রে এগিয়ে যেতে পারেন-এগুলো সাধারণত প্রতিবেদনে উঠে আসে না।

তিনি আরও বলেন, গার্মেন্টস কর্মীদের নিয়ে প্রতিবেদন তৈরির সময় ভিকটিম তৈরির মানসিকতা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। এ দেশের নারী পোশাক শ্রমিকরাও প্রযুক্তি ও পরিচালনায় এগিয়ে আসতে সক্ষম-বিষয়টিকে প্রতিবেদনে তুলে ধরতে হবে।

দেশের বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা এই কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন। শুরুতেই একটি অংশগ্রহনমূলক সেশনের মাধ্যমে কর্মশালা শুরু করেন সি-ক্যাবের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার ফারজিয়া আহমেদ।

কর্মশালার দ্বিতীয় সেশনে অপরাজিতা প্রকল্প সম্পর্কে একটি প্রেজেন্টেশন দেন সি-ক্যাবের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার হাসান জেমস। পরবর্তীতে সাংবাদিকদের অংশগ্রহণে প্রতিবেদন তৈরির ক্ষেত্রে কীভাবে স্টেরিওটাইপ থেকে বের হয়ে আসতে পারে সে বিষয়ে একটি অনুশীলন পরিচালনা করা হয়।

সেন্টার ফর কমিউনিকেশন অ্যাকশন বাংলাদেশ (সি-ক্যাব) গবেষণা এবং কমিউনিকেশন বা যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে বিভিন্ন সামাজিক সমস্যাগুলো সমাধান করতে এবং সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়নের জন্য সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করে।

এমআইএইচএস/জিকেএস