মেঘনার অতি জোয়ারের পানিতে ভোলার ইলিশা ফেরি ঘাটের এপ্রোচ সড়ক ও পন্টুনের র্যাম ডুবে গেছে। ইলিশা ঘাটের লো ও হাই ওয়াটার ঘাট তলিয়ে যাওয়ায় যাত্রীরা ভিজে ও নৌকায় করে ফেরিতে ওঠানামা করছে। এছাড়া দৈনিক দুবার ৩-৪ ঘণ্টা করে বন্ধ থাকছে ফেরিতে পরিবহন ওঠানামা। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন এ রুটে চলাচলকারী যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকরা।
Advertisement
রোববার (৭ জুলাই) সরেজমিনে দেখা যায়, মেঘনা অতি জোয়ারের পানিতে দিনে কমপক্ষে দুবার তলিয়ে যায় ইলিশার লো ও হাই ওয়াটার ঘাটের এপ্রোচ সড়ক ও পন্টুনের র্যাম। ইলিশা ফেরিঘাট দিয়ে ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটে প্রতিদিন পাঁচটি ফেরি চলাচল করে। এতে দৈনিক কয়েক হাজার যাত্রী ও বিভিন্ন ধরনের পরিবহন চলাচল করে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছে এ রুটে চলাচলকারী হাজারও যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকরা।
সাধারণ যাত্রী আব্দুল রহিম ও সারমিন আক্তার জানান, ইলিশা ঘাটের এসেছি ফেরিতে করে লক্ষ্মীপুর হয়ে চট্টগ্রাম যাবো। কিন্তু ঘাটে এসে দেখি অতি জোয়ারের পানিতে দুই ঘাটই তলিয়ে গেছে। তাই বাধ্য হয়ে নৌকায় করে ফেরিতে উঠেছি।
মো. তানজিল নামে আরেক যাত্রী জানান, চট্টগ্রাম যাওয়ার জন্য মোটরসাইকেল নিয়ে ইলিশা ঘাটে এসেছি। জোয়ারের পানির মধ্যে মোটরসাইকেল নিয়ে ভিজে বেগম সুফিয়া কামাল ফেরিতে উঠেছি। শরীরের জামা-কাপড় সম্পূর্ণ ভিজে গেছে।
Advertisement
ট্রাক চালক মো. মাইনউদ্দিন, মো. ফারুক ও মো. মিজান জানান, মালামাল লোড করে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ইলিশা ফেরি ঘাটে সকালে এসেছি। কিন্তু যানবাহনের চাপ থাকায় ফেরিতে উঠতে পারিনি। দুপুর ৩টার দিকে বেগম সুফিয়া কামাল ফেরিতে উঠব। কিন্তু জোয়ারের পানির ফেরির এপ্রোচ সড়ক ও র্যাম্প তলিয়ে যায়। ফলে ফেরিতে উঠতে না পেরে ভাটার অপেক্ষা ছিলাম। পানি কিছু কমলে ফেরিতে উঠেছি। তাও অনেক ঝুঁকি নিয়ে।
তারা আরও জানান, সময়মত গন্তব্যে যেতে না পেয়ে পরিবহন মালিক ও বিভিন্ন পণ্যের মালিকদের গালমন্দ শুনতে হচ্ছে। এ সমস্যা দীর্ঘদিন ধরে ইলিশা ফেরি ঘাটে চললেও এখনও কোনো সমাধান হয়নি। আমরা এটির দ্রুত সমাধান দাবি করছি।
বেগম সুফিয়া কামাল ফেরির দ্বিতীয় শ্রেণির মাস্টার মো. আশাদুল্লাহ জানান, অতি জোয়ারের কারণে ইলিশার দুইটি ঘাট তলিয়ে যাওয়া পরিবহন লোড-আনলোড করতে ঘাটেই অপেক্ষা করতে হয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা। এতে সময়মত গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছেন না যাত্রীরা।
বিআইডবিøউটিসি ভোলার ব্যবস্থাপক (মেরিন) মো. আল আমিন জানান, এপ্রোচ সড়কটি মেরামতের জন্য অনেকবারই কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
Advertisement
বিআইডবিøউটিএ ভোলা নৌ বন্দরের সহকারী পরিচালক মো. শহিদুল ইসলাম জানান- জোয়ারের কারণে এ সমস্যায় পড়ছে হচ্ছে। জোয়ার থামলে এটি আর থাকবে না। এছাড়া একটি প্রকল্পের মাধ্যমে ইলিশা ঘাট আধুনিক করা হবে। জুয়েল সাহা বিকাশ/এএইচ/জিকেএস