চুয়াডাঙ্গায় কুকুরের উৎপাত বেড়েছে। কুকুরের আক্রমণের শিকার হচ্ছেন শিক্ষার্থী, শিশু, পথচারীসহ স্থানীয়রা। গত ছয় দিনে কুকুরের কামড়ে আহত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন ৫৬ জন।
Advertisement
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, সদর হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিমাণ অ্যান্টি-র্যাবিস ভ্যাকসিন থাকলেও জেলার তিনটি উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেই। এতে বাধ্য হয়ে দূর-দূরান্তের রোগীরা সদর হাসপাতালে এসে ভ্যাকসিন নিচ্ছেন।
ভুক্তভোগীরা জানান, বিভিন্ন উপজেলায় কুকুরের উৎপাত বেড়েছে। এসব কুকুরের আক্রমণে শিশুসহ নারী-পুরুষ সবাই জখম হচ্ছেন। বিশেষ করে রাতের বেলা সড়কে চলাচল করা দায় পড়েছে। তাড়া করছে কুকুরের দল।
চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার সুমিয়াদিয়া এলাকার বাসিন্দা বিজয় আরিয়ান বলেন, ‘আমাদের এলাকায় গত চারদিনে পাগলা কুকুরের কামড়ে শিশুসহ ছয়জন আহত হয়েছেন। যাকে পাচ্ছে তাকেই কামড় দিচ্ছে। পাশ দিয়ে কেউ গেলে তেড়ে আসছে।’
Advertisement
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিক বলেন, আইন অনুযায়ী কুকুর নিধনের অনুমতি নেই। তবে যেহেতু শহরে কুকুরের উৎপাত বেড়েছে, সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।
সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাৎ হাসান বলেন, সদর হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিমাণ অ্যান্টি-র্যাবিস ভ্যাকসিন রয়েছে। অন্য উপজেলাগুলোতে যাতে ভ্যাকসিনের মজুত রাখা হয়ে সেজন্য নির্দেশনা দেওয়া হবে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন ড. কিসিঞ্জার চাকমা বলেন, চাইলেই কুকুর মেরে ফেলা যায় না। আইনগত কিছু বিধিনিষেধ রয়েছে। নিয়মের মধ্যে যতটুকু সম্ভব তা করা হবে। হাসপাতালগুলোতে যাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ অ্যান্টি-র্যাবিস ভ্যাকসিন থাকে, সে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
হুসাইন মালিক/এসআর/জিকেএস
Advertisement