ক্যাম্পাস

জাবিতে শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সর্বাত্মক কর্মবিরতি

অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত প্রত্যয় স্কিমকে ‘বৈষম্যমূলক’আখ্যা দিয়ে সপ্তম দিনের মতো সর্বাত্মক কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস-পরীক্ষাসহ সব ধরনের দাপ্তরিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

Advertisement

রোববার (৭ জুলাই) সকাল ৯টা থেকে অন্যান্য দিনের মতো সর্বাত্মক কর্মবিরতি শুরু করেন শিক্ষকরা। পরে দুপুর ১২টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদ ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা।

কর্মসূচিতে ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক সুলতানা আক্তার বলেন, ‘দেশের কিছু মানুষ দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার করছে। কানাডার বেগমপাড়ায় আলিশান বাড়ি বানাচ্ছে। তবে সেদিকে আপনাদের কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। আপনারা দুর্নীতিবাজদের টাকায় হাত না দিয়ে শিক্ষকদের পেনশনে হাত দিয়েছেন। শিক্ষকরা যদি তাদের আর্থিক নিরাপত্তা না পায়, তাহলে কিভাবে শিক্ষা ও গবেষণায় মনোনিবেশ করবে? তাই অতিদ্রুত সর্বজনীন পেনশন স্কিম বাতিলের আহ্বান জানাচ্ছি।’

শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মো. মোতাহার হোসেন বলেন, ‘শিক্ষকরা দামি গাড়ি-বাড়ি চায়নি। এরপরও শিক্ষকদের ন্যায্য পাওনার উপরে হাত দিয়েছেন। সর্বজনীন পেনশেনের আওতায় শিক্ষকদের বেতন থেকে ১০ শতাংশ টাকা কেটে রাখা হবে। এখন শিক্ষকরা যে বেতন পায় সেটা দিয়েই সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয়। এরপরেও বেতনের ১০ শতাংশ টাকা কেটে রাখলে সংসার চালানো কষ্টকর হয়ে যাবে।’

Advertisement

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রমে ফিরতে চাই। তাই প্রধানমন্ত্রীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাই, আপনি বিশ্ববিদালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে বসেন, কথাগুলো শোনেন। কেননা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সহযোগিতা ছাড়া বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব নয়।’

অপরদিকে, সকাল ৯টা থেকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার দাবিতে দাপ্তরিক কার্যক্রম বন্ধ রাখেন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে ‘কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ’ ব্যানারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।

অফিসার্স সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম মিয়া বলেন, ‘একই দেশে দুই ধরনের পেনশননীতি চলতে পারে না। আমরা নতুন প্রথা বাতিল করে আগের পেনশন প্রথা বহালের দাবিতে আন্দোলন করছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবো।’

এএইচ/জিকেএস

Advertisement