আন্তর্জাতিক

ইসরায়েলি মন্ত্রীদের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ

এতদিন ধরে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল ছিল ইসরায়েল। এবার এই তালিকায় যুক্ত হলেন অন্যান্য মন্ত্রীরাও। ইসরায়েলি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালেন্ট, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাতজ, ইসরায়েলের পার্লামেন্ট নেসেটের স্পিকার আমির ওহানা, অর্থনীতি বিষয়ক মন্ত্রী নির বারকাত, পরিবহনমন্ত্রী মিরি রেগেভ, কৃষিমন্ত্রী আভি ডিচটার, জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়কমন্ত্রী ইজহাক ওয়াসেরলফের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ হয়েছে।

Advertisement

সাম্প্রতিক সময়ে গাজায় সংঘাত আরও দীর্ঘ হওয়া এবং জিম্মিদের মুক্ত করতে ব্যর্থ হওয়ায় বিক্ষোভের মুখে পড়েন নেতানিয়াহু। তার সরকারের পদত্যাগ দাবি করেছেন বিক্ষোভকারীরা।

প্রায় ৯ মাস ধরে গাজায় সংঘাত চলছেই। বিক্ষোভ বন্ধ হওয়ার এখনো কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। সে সময় এক হাজারের বেশি ইসরায়েলি নাগরিককে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ করে ইসরায়েল।

গাজায় অভিযানের নামে প্রতিদিনই নিরীহ নারী, পুরুষ এবং শিশুদের হত্যা করা হচ্ছে। গাজার হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেখানে এখন পর্যন্ত ৩৮ হাজার ৯৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৮৭ হাজার ৭০৫ জন।

Advertisement

এর আগে দুপক্ষের যুদ্ধবিরতিতে আড়াই শতাধিক জিম্মিকে মুক্তি দেয় হামাস। কিন্তু তারপর নতুন করে আবার সংঘাত শুরু হয়। তবে গাজায় নতুন করে আর যুদ্ধবিরতির বিষয়ে ইসরায়েলকে তেমন একটা আগ্রহী দেখা যাচ্ছে না। এমনকি জিম্মি হিসেবে থাকা বাকিদের মুক্তির বিষয়েও তেমন কোনো অগ্রগতি নেই। এসব বিষয়কে কেন্দ্র করেই ইসরায়েলের মধ্যে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে দেশজুড়ে ক্ষোভ বেড়ে গেছে।

আরও পড়ুন: ইসরায়েলে শতাধিক রকেট হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ গাজার ১০ জনের মধ্যে ৯ জনই বাস্তুহারা

মাসের পর মাস ইসরায়েলি হামলার কারণে গাজায় খাবার, পানি, ওষুধ এবং অন্যান্য মানবিক সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। শনিবার ইসরায়েলি হামলায় পাঁচ সাংবাদিক নিহত হয়েছেন বলেও নিশ্চিত হওয়া গেছে।

গাজার হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আহত অবস্থায় কমপক্ষে ৫০ ফিলিস্তিনিকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। গাজার কোনো স্থানই এখন নিরাপদ নয়। সুরক্ষিত এলাকা ভেবে যেখানেই ফিলিস্তিনিরা আশ্রয় নিচ্ছে সেখানেই হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল।

টিটিএন

Advertisement