জাতীয়

বিকেলে যে কারণে যানজট বেশি হতে পারে, যা জানলো ডিএমপি

রোববার বিকেলে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।

Advertisement

রোববার (৭ জুলাই) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (ট্রাফিক-দক্ষিণ) এস এম মেহেদী হাসান।

তিনি বলেন, ট্রাফিক মুভমেন্টের আগাম বার্তা বিভিন্ন সময়ে দেওয়ার চেষ্টা করি। ঢাকা মহানগরীতে বিভিন্ন প্রোগ্রামকে কেন্দ্র করে ট্রাফিকের অবস্থা পরিবর্তন হয়। রোববার সপ্তাহের প্রথম কর্ম দিবস। রোববারে অন্যান্য দিনের তুলনায় ট্রাফিক মুভমেন্ট বেশি থাকে।

এস এম মেহেদী হাসান বলেন, অন্যদিকে আজ সনাতন ধর্মাবলম্বীদের রথযাত্রা রয়েছে। এটি স্বামীবাগ ইসকন মন্দির থেকে শুরু হয়ে লালবাগে শেষ হবে। রথযাত্রাকে কেন্দ্র করে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে পুরান ঢাকায় গমনাগমন করবেন।

Advertisement

আরেকটি বিষয় উল্লেখ করে ট্রাফিক বিভাগের যুগ্ম কমিশনার বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে শিক্ষার্থীদের একটি আন্দোলন চলছে। এসব মিলিয়ে আজ বিকেল থেকে পুরান ঢাকা, রমনা, মতিঝিল, শাহবাগ, ধানমণ্ডি, গুলিস্তান, লালবাগ ও ওয়ারী এলাকার বিভিন্ন স্থানে অন্যান্য দিনের তুলনায় যানজট বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। যারা এসব এলাকায় যাতায়াত করবেন অনুরোধ জানাবো তারা যেন হাতে পর্যাপ্ত সময় নিয়ে বের হন।

আরও পড়ুন

কোটা বাতিলের দাবিতে রোববার ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি রথযাত্রা ও কোটা বাতিলের আন্দোলন: সময় নিয়ে বের হতে বললো পুলিশ

কোটাবিরোধী আন্দোলন চলমান রয়েছে, এ অবস্থায় ট্রাফিক পরিকল্পনা কি জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা ট্রাফিক মুভমেন্টের ওপরে কাজ করি। সড়কে যেন জনসাধারণের দুর্ভোগ কম হয় সেজন্য কাজ করি। বেশ কিছুদিন ধরে কোটা বিরোধী আন্দোলন চলমান রয়েছে। এতে করে শাহাবাগ মোড় বন্ধ থাকে। তারপরেও আমরা আমাদের সীমিত জনবল দিয়ে চেষ্টা করে যাচ্ছি সাধারণ মানুষের যাতায়াত যেন সহজ হয়।

কিছু কিছু এলাকায় স্থায়ী যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে এর প্রতিকার কি জানতে চাইলে এস এম মেহেদী বলেন, স্থায়ী যানজট নিরসনেও আমরা বেশ কিছু কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। দুই মাস আগে মহাখালী বাস টার্মিনালের চিত্র আর এখনকার চিত্রে কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে। আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকার কিংবা বাস এই ধরনের ক্লাসিফিকেশন করি না। যারা আইন ভঙ্গ করে তাদের বিরুদ্ধে আমরা আইন প্রয়োগ করে থাকি।

Advertisement

তবে শুধুমাত্র আইন প্রয়োগ করে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব না জানিয়ে তিনি বলেন, আইন প্রয়োগ করি কতজন মানুষ, আনুমানিক ৩০০০ জন। এই তিন হাজার জন আইন প্রয়োগ করছে দুই কোটি মানুষের উপর। এই দুই কোটি মানুষ সড়ক ব্যবহারকারীর একটা সচেতনতার বিষয় আছে। তারা সচেতন থাকলে আমাদের মুখোমুখি অবস্থানে পড়তে হয় না।

টিটি/এসআইটি/এমএস