বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘নির্বাচনের আগে আমাদের আন্দোলন, আমাদের জনগণ ও নেতাকর্মীরা যত না শক্তিশালী ছিলেন, আজ আমরা তার চেয়ে বেশি শক্তিশালী। এবারের ধাক্কা সামলাতে পারবেন না। চোরের ১০ দিন শেষ, গৃহস্থের একদিন চলে এসেছে।’
Advertisement
শনিবার (৬ জুলাই) বিকেলে কাজীর দেউরি নাসিমন ভবনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সমাবেশ আয়োজন করে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপি।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘গতকাল পত্রিকায় দেখলাম, রপ্তানির ১৪ বিলিয়ন ডলার হাওয়া হয়ে গেছে। বাংলাদেশের টাকায় এক লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা। সেটা যদি হাওয়া হয় বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধিটা হাওয়া হয়ে যাওয়ার কথা। প্রবৃদ্ধি ৫ থেকে ৪ এর নিচে চলে আসবে। খরচ আর জমার মধ্যে যে ঘাটতি সেটা আরও বেড়ে যাবে।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী মার্কা যে কৃত্রিম অর্থনৈতিক মডেল সৃষ্টি হয়েছে, সেটা দেশের মানুষের টাকা লুটপাট করে বিদেশে পাচারের। মেগা প্রজেক্টের নামে লুটপাটের। আজ রিজার্ভে ডলার নেই। গ্যাস কিনতে পারছে না, তেল কিনতে পারছে না। মিল-ফ্যাক্টরি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। মানুষ চাকরি হারাচ্ছে। এভাবে দেশের অর্থনীতি পঙ্গু করে দেওয়া হয়েছে।’
Advertisement
খালেদা জিয়াকে নির্যাতনে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা হবে জানিয়ে আমীর খসরু বলেন, ‘খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা সাজিয়ে, সে মামলায় জেলে পাঠানোসহ তার ওপর চালানো সব নির্যাতনে যারা জড়িত- সবার বিচার হবে। অপরাধীদের শাস্তি অবশ্যই ভোগ করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে জেলে বন্দি করেছে মানুষের ক্ষমতা কেড়ে নেওয়ার জন্য। যতদিন খালেদা জিয়া মুক্তি পাবেন না, ততদিন দেশের গণতন্ত্র, ভোটের অধিকার, মানুষের জীবনের নিরাপত্তা থাকবে না; এই লুটপাট অব্যাহত থাকবে।’
খালেদা জিয়া কোনো দুর্নীতি করেননি দাবি করে বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘যে ট্রাস্টের কথা বলে তাকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে, সেই ট্রাস্ট থেকে একটি পয়সাও খালেদা জিয়া অথবা তার পরিবারের কোনো সদস্য নেননি। সব টাকা ব্যাংকে জমা আছে, সুদে আসলে চারগুণ হয়েছে এখন।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সংবিধানে যে কথাগুলো বলা আছে, সে অনুযায়ী খালেদা জিয়ার শাস্তি হয় না। জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ডিক্লারেশন অব হিউম্যান রাইটসে পরিষ্কারভাবে বলা আছে এই অপরাধ কোন দণ্ডনীয় অপরাধ নয়।’
Advertisement
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু। বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও বিভাগীয় সমন্বয়কারী মাহবুবের রহমান শামীমের পরিচালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকার, এস এম ফজলুল হক, মহানগর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন, মহানগর বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ভিপি হারুনুর রশীদ, ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, কেন্দ্রীয় সদস্য সাথী উদয় কুসুম বড়ুয়া, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এনামুল হক এনাম প্রমুখ।
এএজেড/কেএসআর/জেআইএম