দেশজুড়ে

গাইবান্ধায় ৭০ হাজার পরিবার পানিবন্দি, সংকট বিশুদ্ধ পানির

গাইবান্ধায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে ৭০ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। নদী তীরবর্তী ৮০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ রয়েছে। জেলার ১৮১ আশ্রয়কেন্দ্রে মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন।

Advertisement

সরেজমিনে দেখা গেছে, ব্রহ্মপুত্র ও যমুনার তীরে চরাঞ্চলে নির্মিত ঘরবাড়ি ডুবে গেছে। অনেক টিনশেড বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে। নৌকায় করে অনেকে ঘরের জিনিসপত্র নিরাপদে সরিয়ে নিয়েছেন। বানভাসি মানুষদের মধ্য শুকনা খাবার ও বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।

আনন্দবাড়ি চরের বাসিন্দা আবু সাঈদ বলেন, দুই দফায় বন্যায় আমাদের সর্বনাশ হয়েছে। অল্প সময়ে দুই বন্যার কারণে আমাদের বাড়িঘর-ফসল পানির নিচে ডুবে গেছে।

হরিচন্ডি চরের বাসিন্দা আলম মিয়া বলেন, নৌকায় কষ্ট করে রাত কাটাচ্ছি। পানি কমা শুরু হয়েছে। কিন্তু খাবার রান্না করে খাওয়া খুব মুশকিল হয়ে পড়ছে।

Advertisement

আরও পড়ুনযমুনার পানি বেড়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, সহস্রাধিক পরিবার পানিবন্দিমিরসরাইয়ে পানিবন্দি শতাধিক পরিবার

জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, জেলার চার উপজেলার ২৭ ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এরমধ্যে গাইবান্ধা সদর উপজেলায় ৫টি, সুন্দরগঞ্জে ৭টি, সাঘাটায় ৮টি ও ফুলছড়িতে ৭টি। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ৬৭ হাজার ৭২৯টি পরিবার। এরমধ্যে গাইবান্ধা সদর উপজেলায় ৩৯ হাজার ৮৮৯টি, সুন্দরগঞ্জে ৫২ হাজার ২০০টি, সাঘাটায় ১৫ হাজার ১৫০টি ও ফুলছড়িতে রাত হাজার ৪৯০টি। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলায় ১৮১টি স্থায়ী ও অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এরমধ্যে গাইবান্ধা সদর উপজেলায় ২৪টি, সুন্দরগঞ্জে ৪৮টি, সাঘাটায় ৩৬ ও ফুলছড়িতে ২৩টি, সাদুল্ল্যাপুরে ৩৩টি, পলাশবাড়ীতে ৬টি ও গোবিন্দগঞ্জে ১১টি।

গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক নাহিদ রসুল বলেন, বন্যা পরিস্থিতি সংক্রান্ত সবধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। নিরাপদে সরে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে।

এ এইচ শামীম/আরএইচ/জেআইএম

Advertisement