খেলাধুলা

জোড়া সেঞ্চুরির পরও হারলো সিসিএস

আগের ম্যাচে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে অসহায় আত্মসমর্পণ করেছিল গতবারের চ্যাম্পিয়ন প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। মঙ্গলবারও ক্রিকেট কোচিং স্কুলের (সিসিএস) কাছেও হারতে বসেছিল তারা। সিসিএসের সাইফ হাসান ও সালমান হোসেনের জোড়া সেঞ্চুরিতে পরাজয়ই দেখছিল প্রাইম ব্যাংক। প্রাইমের বিপক্ষে যখন জয়ের দ্বারপ্রান্তে সিসিএসকে, তখন শেষদিকের নাটকীয়তায় ৫ রানে ম্যাচ জিতে নেয় প্রাইম ব্যাংক।জয়ের জন্য শেষ ওভারে ১৬ রানের প্রয়োজন ছিল সিসিএসের। প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকান সেঞ্চুরিয়ান সালমান হোসেন। তবে শেষ পাঁচ বল থেকে আর মাত্র ৩ রান সংগ্রহ করতে পেরেছিল তারা। ফলে ৫ রান বাকি থাকতেই থামে সিসিএসের ইনিংস।  প্রাইম ব্যাংকের দেওয়া ২৫৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি সিসিএস। দলীয় ১৩ রানেই দুই ওপেনার উত্তম সরকার ও পিনাক ঘোষকে হারিয়ে চাপে পড়ে তারা। তবে তৃতীয় উইকেট জুটিতে দলের হাল ধরেন সাইফ হাসান ও সালমান হোসেন। সদ্য অনূর্ধ্ব-১৯ দলে খেলা সাইফ হাসান এদিন নিজের প্রথম লিস্ট এ সেঞ্চুরি তুলে নেন। তবে ১০০ রান করার পর মনির হোসেনের পরের বলেই মেহেদী মারুফের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান তিনি। ১২৯ বলে ৭টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে এ রান করেন তিনি। অপর প্রান্তে সাবলীল ব্যাট করতে থাকেন সালমান। লিস্ট এ’র প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন এ ব্যাটসম্যানও। তবে শেষ রক্ষা করতে পারেননি তিনি। ১৩৭ বলে ৮টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ১১০ রান করেন সালমান। মঙ্গলবার বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করতে নামে প্রাইম ব্যাংক। দুই ওপেনার মেহেদী মারুফ ও শেনাজ আহমেদের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে উদ্বোধনী জুটিতে ৫৩ রান  সংগ্রহ করেন। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ৯৫ রানেই শীর্ষ পাঁচ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে তারা।তবে ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে ইয়াসির আলীকে নিয়ে দলের হাল ধরেন তাইবুর রহমান। ১০৬ রানের জুটি গড়ে চাপ সামলে নেন এ দুই ব্যাটসম্যান। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭৬ রান করেন তাইবুর। ৭২ বলে ৪টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে এ রান করেন তিনি। এছাড়া ইয়াসির আলী খেলেন ৫৩ রানের ইনিংস।শেষপর্যন্ত ৪৮.৩ ওভারে ২৫৭ রান সংগ্রহ করে অলআউট হয়ে যায় প্রাইম ব্যাংক। সিসিএসের পক্ষে ৪৫ রানে ৩টি উইকেট পান নাসুম আহমেদ। এছাড়া সাইফুদ্দিন, রেফাতুজ্জামান ও শাওন গাজী ২টি করে উইকেট নেন।আরটি/আইএইচএস/এবিএস

Advertisement