দিনাজপুরের হিলিতে প্রতি সপ্তাহেই বাড়ছে দেশি পেঁয়াজের দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানেই কেজিপ্রতি দাম বেড়েছে ৩০ টাকা। হঠাৎ পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন ক্রেতারা। ব্যবসায়ীদের দাবি, ভারতীয় পেঁয়াজের আমদানি কমে যাওয়ায় ও দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বেড়েছে।
Advertisement
শনিবার হিলি বাজারের পাইকারি ও খুচরা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, পাইকারিতে প্রকারভেদে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৮৫-৯৭ টাকায়, যা খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ৯০-১১০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। অথচ এক সপ্তাহ আগেও পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৬৫-৭৬ টাকায়। খুচরায় ৮৫-৯০ টাকা।
রিকশাচালক আসলাম আলী বলেন, প্রতি সপ্তাহেই বাড়ছে দেশি পেঁয়াজের দাম। এদিকে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ। যত সমস্যা গরিবের। এক নাতিসহ পাঁচজনের সংসার নিয়ে অনেকটা বিপদে আছি।
বাংলা হিলি বাজারের পাইকারি পেঁয়াজ বিক্রেতা শাহাবুল ইসলাম জানান, ঈদের পর দেশীয় পেঁয়াজের চাহিদা থাকায় ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি করা সম্ভব হয়নি। খুচরা বাজারে আগের আমদানি করা কিছু ভারতীয় পেঁয়াজের পাশাপাশি বেশিরভাগ দেশি পেঁয়াজই বিক্রি হচ্ছে।
Advertisement
মূল্যবৃদ্ধির ব্যাপারে তিনি বলেন, ভারতীয় পেঁয়াজ না আসায় দেশি পেঁয়াজের ওপর চাপ বেড়েছে। আর চাপ বেড়ে যাওয়ায় মোকামে বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। তাই বেশি দামে পেঁয়াজ কিনে বাধ্য হয়ে বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে।
ভারতীয় পেঁয়াজ না এলে সামনে দাম আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিক্রেতারা।
আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন-অর রশিদ জানান, দুই দেশেই পেঁয়াজের শুল্ক বৃদ্ধি করা হয়েছে। পাশাপাশি ভারতেও দাম বেশি পেঁয়াজের। সে কারণে পেঁয়াজ আমদানিতে সুবিধা করতে পারছেন না আমদানিকারকরা। এজন্য পেঁয়াজ আমদানি কমিয়ে দিয়েছেন হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকরা।
মো. মাহাবুর রহমান/জেডএইচ/জেআইএম
Advertisement