অজুতে ব্যবহৃত পানি সম্মানিত কিছু নয়। এ পানি কমোডে ঢালা যেতে পারে। বাথরুমের মেঝে, দেয়াল অথবা ভেতরের অংশ পরিস্কারের ক্ষেত্রেও এ পানি ব্যবহার করা যায়। অজুর ব্যবহৃত পানি বাথরুম-কমোডে ফেললে গুনাহ হবে না।
Advertisement
শরঈ পরিভাষায় অজুর ব্যবহৃত পানিকে ‘মায়ে মুস্তামাল’ বা ব্যবহৃত পানি বলা হয়। অজু করার সময় শরীরে নাপাকি না থাকলে অজুর ব্যবহৃত পানি অপবিত্র নয়। তবে এ রকম পানি দিয়ে বাহ্যিক নাপাকি দূর করা গেলেও অজু বা গোসল করা যায় না। অর্থাৎ শরীরে লেগে থাকা কোনো নাপাকি ব্যবহৃত পানি দিয়ে ধুলে শরীর পবিত্র হবে, কিন্তু কারো অজু না থাকলে বা গোসল ফরজ হলে ব্যবহৃত পানি দিয়ে অজু-গোসলের মাধ্যমে পবিত্রতা অর্জন করা যাবে না।
অজুর পানি যেহেতু অপবিত্র নয়, তাই অজুর ব্যবহৃত পানির ছিটা অজুর পানির পাত্রে পড়লে বা অল্প কিছু পানি কোনো বালতিতে পড়লে বালতির পানি অপবিত্র হবে না বা ওই পানি দিয়ে অজু-গোসল করা অবৈধ হবে না। তবে বালতিতে যদি অনেক বেশি ব্যবহৃত পানি পড়ে, অব্যবহৃত পানির চেয়ে ব্যবহৃত পানির পরিমাণ বেড়ে যায়, তাহলে তা দিয়ে অজু-গোসল হবে না।
মনে রাখা দরকার যে, অজু করার সময় শরীরে কোনো নাপাকি লেগে থাকলে, অজুর সময় শরীরের কোনো নাপাকি ধোয়া হলে অজুর ব্যবহৃত পানি অপবিত্র হয়ে যাবে। ওই পানি এবং এ সম্পর্কিত সব বিধান তখন অপবিত্র পানির মতোই হবে। পানি দিয়ে শরীরের নাপাকি ধোয়া হয়েছে এবং যে নাপাকি পানিতে মিশেছে, ওই পানি নাপাক বা অপবিত্র।
Advertisement
ওএফএফ/জেআইএম