হামবুর্গে গতকাল শুক্রবার গর্তুগালের দুর্বিষহ রাতের কথা সবারই জানা। ফ্রান্সের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর ভক্তদের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছিল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওয়াল। অনেকেই সিআর-৭ কে বিদায় জানিয়ে দিয়েছেন আবেগঘন পোস্টের মাধ্যমে। তবে কি আসলেই পর্তুগালের ফুটবলকে বিদায় জানিয়েছেন রোনালদো।
Advertisement
পর্তুগিজ কোচ রবার্তো মার্টিনেজ অবশ্য জানিয়ে দিয়েছেন, এখনই রোনালদো অধ্যায় শেষ হয়ে যায়নি। যদি এখনই তাকে বিদায় জানানো হয়, তাহলে ব্যাপারটি বেশ তাড়াতাড়িই হয়ে যাবে।
সংবাদ সম্মেলনেও রোনালদোর বিদায় নিয়ে প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছিলেন মার্টিনেজ। তার কাছে জানতে সাংবাদিকরা জানতে চেয়েছেন, ফ্রান্সের বিপক্ষে এই ম্যাচই পর্তুগালের জার্সিতে রোনালদোর শেষ কিনা।
এই প্রশ্নের জবাবে মার্টিনেজ বলেন, ‘ম্যাচ শেষ হওয়ার পরপরই এটা নিয়ে কথা বলাটা একটু তাড়তাড়িই হয়ে যায় এবং ব্যক্তিগত পর্যায়ে এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।’
Advertisement
গতকাল ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে গোলশূন্য সমতায় ১২০ মিনিটের খেলা শেষ করা পর টাইব্রেকার শ্যুটআউটে ৫-৩ ব্যবধানে হারে পর্তুগাল। ম্যাচে অতিরিক্ত সময়ে গোল করার দারুণ সুযোগ পেয়েছিলেন রোনালদো। কিন্ত শেষ পর্যন্ত ফরাসিদের জাল খুঁজে বের করতে পারেননি তিনি। তবে টাইব্রেকার শ্যুটআউটে গোল পেয়েছেন রোনালদো।
এবারের ইউরোতে নিজেকে মোটেই মেলে ধরতে পারেননি রোনালদো। পুরো টুর্নামেন্টে একটি গোলও পাননি তিনি। ফুটবল ক্যারিয়ারে বড় কোনো টুর্নামেন্টে গোল করতে না পারার অস্বস্তিকর নজির এবারই প্রথম স্থাপন করলেন রোনালদো। ২০১৬ সালের চ্যাম্পিয়নদের বিদায় নিতে হয়েছে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই।
পর্তুগালের জার্সিতে ২১২ ম্যাচে ১৩০ গোল করেছেন রোনালদো। আন্তর্জাতিক ফুটবলে কোনো দলের হয়ে সর্বোচ্চ গোল করার রেকর্ড এটি। ১০৮ গোল করে রোনালদোর পরের অবস্থানে রয়েছেন আর্জেন্টিনার তারকা ফুটবলার লিওনেল মেসি।
এমএইচ/এএসএম
Advertisement