লাইফস্টাইল

প্রিয়জনকে চুম্বনের যত উপকারিতা

ভালোবাসার বহিপ্রকাশ হিসেবে অনেকেই প্রিয় মানুষটির গালে চুম্বন এঁকে দেন। এই চুম্বনে শারীরিক চাহিদার থেকে বিশ্বাসের অঙ্গিকারই বেশি জায়গা পায়। নতুন সম্পর্কে যাওয়া মানুষগুলোর কাছে চুম্বনের অনুভূতি সম্পূর্ণই ভিন্ন। আজ আন্তর্জাতিক চুম্বন দিবস বা ইন্টারন্যাশনাল কিসিং ডে।

Advertisement

ইন্টারন্যাশনাল কিসিং ডে’র ইতিহাস

ইতিহাসের তথ্য অনুযায়ী, ইউরোপেই প্রথম চুম্বনের অনুশীলন ঘটে। এর জন্য রোমানদেরকেই ধন্যবাদ জানান গোটা বিশ্ব। তারা চুম্বনকে তিনটি রূপে বর্ণনা করেছে- অস্কুলাম (গালে বন্ধুত্বপূর্ণ চুম্বন), বেসিয়াম (ঠোঁটে ঠোঁট রেখে প্রেমময় চুম্বন), ও স্যাভিয়াম (মুখে চুম্বনের)। রোমান সমাজে, কখন, কোথায় ও কীভাবে কাউকে চুম্বন করা হতে, তা কিন্তু সামাজিক অবস্থানের একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক ছিল।

চুম্বনেরও বিভিন্ন ধরন আছে। যেমন- ফ্রেঞ্চ কিস, নেক কিস, লিজার্ড কিস, বাটারফ্লাই কিস, ফোরহেড কিস ইত্যাদি। আপনি যে ধরনের চুম্বনই পছন্দ করেন না কেন, ৬ জুলাই আন্তর্জাতিক চুম্বন দিবসে প্রিয়জনের প্রতি ভালোবাসা বহিপ্রকাশে একটি চুম্বন তো করতেই পারেন।

চুম্বনের স্বাস্থ্য উপকারিতা

জানলে অবাক হবেন, চুম্বন বা চুমু স্বাস্থ্যের পক্ষেও উপকারী। একাধিক শারীরিক সমস্যার সমাধান করে চুম্বন। এ কথা অনেক আগেই দাবি করেছেন ব্রিটিশ বিজ্ঞানীরা।

Advertisement

ব্রিটেনের ‘নিউরোসায়েন্স অ্যান্ড কগনিটিভ সায়েন্স’এর বিজ্ঞানীদের দাবি, চুম্বন বা চুমু উচ্চ রক্তচাপ, অবসাদের মতো একাধিক সমস্যার সমাধান করতে পারে নিমেষে।

গবেষণা বলছে, আধা ঘণ্টার চুমতে ৬৮ ক্যালোরি বার্ন হয়। এমনকি মার্কিন একদল গবেষকদের দাবি চুমু যদি বেশি তীব্র হয়, সে সময় যদি খুব দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস চলে, তাহলে ৯০ ক্যালোরি পর্যন্ত ঝরতে পারে।

ব্রিটেনের বাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের মতে, চুম্বনের ফলে শরীরে অ্যান্ডরফিন হরমোন বেড়ে যায়, যা মাসিকের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও চুমুর রয়েছে একাধিক স্বাস্থ্য উপকারিতা-

শরীরের ব্যথা কমে

Advertisement

ব্রিটেনের ‘নিউরোসায়েন্স অ্যান্ড কগনিটিভ সায়েন্স’এর বিজ্ঞানীদের দাবি, চুমু খেলে মস্তিষ্কে অ্যান্ডরফিন হরমোনের ক্ষরণ হতে থাকে যা শরীরের ব্যথা-বেদনা কমাতে সাহায্য করে। চুমু খেলে মাইগ্রেনের মতো মারাত্মক যন্ত্রণাও সহজেই কমে যেতে পারে।

আরও পড়ুন

হজমের সমস্যাও হতে পারে ফ্যাটি লিভারের লক্ষণ বর্ষায় বাড়ে ডেঙ্গু, আক্রান্ত কি না বুঝবেন যে লক্ষণে

দুশ্চিন্তা কমে

চুম্বনের সময় মানব মস্তিষ্কে ডোপামিন আর সেরোটোনিন হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। ফলে অবসাদ ও দুশ্চিন্তা কমে দ্রুত।

হৃদযন্ত্র ভালো থাকে

ব্রিটেনের বাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের মতে, চুম্বন বা চুমু আমাদের হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, উচ্চ রক্তচাপ ও অবসাদের মতো একাধিক সমস্যা দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনতে সাহায্য করে চুম্বন।

অ্যালার্জির প্রকোপ কমে

বিশেষজ্ঞদের মতে, চুম্বনের সময় আইজিই অ্যান্টিবডি কমে যায়। শুধু তাই নয়, হিস্টারিন হরমোনের ক্ষরণও কমে যায়। ফলে অ্যালার্জির প্রকোপ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

মুখের পেশি সক্রিয় হয়

চুম্বনের সময় মুখের ৩৪টি পেশি ও ১১২টি পস্ট্রুয়াল পেশি সক্রিয় হয়ে ওঠে। এ কারণে ফেসিয়াল পালসি, মাসকুলার ডিসটোনিয়ার মতো সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই কমে।

মুখের স্বাস্থ্যও ভালো থাকে

মুখ গহ্বরের স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও চুম্বন উপকারী। কারণ চুম্বনের সময় মুখের ভেতর প্রচুর পরিমাণে লালা নিঃসরণ হয়। একই সঙ্গে মুখের ভেতরে নানা রকম উৎসেচক ক্ষরিত হয়।

ফুসফুস ভালো থাকে

চুম্বনের ফলে শক্তিশালী হয় ফুসফুস। নিয়মিত চুম্বনে ফুসফুস সংক্রান্ত বিভিন্ন রোগ থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।

সূত্র: জি নিউজ/হেলথ টিপস/ ন্যাশনাল টুডে

জেএমএস/এমএস