আল্লাহ তাআলা বান্দাকে লক্ষ্য উদ্দেশ্য করে বলেছেন, আল্লাহর স্মরণ করার জন্য। আল্লাহর স্মরণই হচ্ছে জিকির। আল্লাহর বান্দারা যখন জিকিরের জন্য কোনো মজলিসে উপস্থিত হয় তখন সে মজলিস আল্লাহর দরবারে অনেক দামি হয়ে যায়। সংক্ষেপে জিকিরের মজলিসের ফজিলত তুলে ধরা হলো-দুনিয়াতে জান্নাতের দুটি উদ্যান রয়েছে, একটি স্থির আর অপরটি সময়ও স্থানের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। হাদিসে এসেছে->> আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেছেন, ‘আমার ঘর ও মিম্বারের মধ্যবর্তী স্থান জান্নাতের উদ্যান (রিয়াজিল জান্নাহ) সমূহের একটি। আর আমার মিম্বারটি হলো হলো আমার হাউজে কাওছারের উপর।’ (বুখারি ও মুসলিম)>> হজরত আনাস ইবনে মালিক রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যখন তোমরা জান্নাতের উদ্যানের পাশ দিয়ে অতিক্রম করবে, তখন তাতে চড়ে নিবে। তারা (সাহাবায়ে কেরাম) বললেন, জান্নাতের উদ্যান কি? তিনি বললেন: জিকিরের (কুরআন ও হাদিসের আলোচনার) মজলিসসমূহ।’ (মুসনাদে আহমাদ, তিরমিজি)>> হজরত আবু হুরায়রা ও আবু সাঈদ খুদরি রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তাঁরা উভয়ে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নিকটে উপস্থিত ছিলেন, তিনি বলেন: “যখন কোনো জাতি বসে আল্লাহর জিকির করে তখন ফেরেশতাগণ তাদেরকে ঘিরে ধরেন এবং তাদেরকে রহমতের ডানা দ্বারা ঢেকে নেন। আর তখন তাদের উপর প্রশান্তি নাজিল হয় এবং আল্লাহ তাআলা তাদের কথা যাঁরা তাঁর নিকটে আছেন তাদের (ফেরেশতাদের)কাছে উল্লেখ করেন।’ (মুসলিম)পরিশেষেএ মজলিস হতে পারে কুরআন-হাদিস অধ্যয়নের মজলিস। আবার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নির্দিষ্ট একটা সময়ে দ্বীনি আলোচনার মজলিস। প্রত্যেক সচেতন পরিবার চাইলে এ রকম বরকতপূর্ণ মজলিস প্রতিটি ঘরে প্রতিদিনই আয়োজন করা সম্ভব।মুসলিম উম্মাহর উচিত, তাদের বাসস্থানে দ্বীনি পরিবেশ তৈরি করা। তাদের প্রতিটি মুহূর্তই যেন আল্লাহর স্মরণে অতিবাহিত হয়। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে তাঁর স্মরণের জন্য কবুল করুন। আমিন।এমএমএস/এবিএস
Advertisement