দেশজুড়ে

মাগুরায় এইচএসসি পরীক্ষার্থী তীর্থ রুদ্র হত্যার রহস্য উদঘাটন

মাগুরায় এইচএসসি পরীক্ষার্থী তীর্থ রুদ্র হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। বন্ধুদের হাতে নৃশংসভাবে খুন হন তিনি। হত্যাকাণ্ডে জড়িত অভিযোগে তীর্থের বন্ধু আমানকে (২০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

Advertisement

আমানের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী শুক্রবার সন্ধ্যায় নিহত তীর্থের ব্যবহৃত ব্যক্তিগত মোটরসাইকেলটি মাগুরা সদরের কাশিনাথপুর গ্রামের একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে। নিহত তীর্থ রুদ্র মাগুরা আদর্শ ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিল।

মাগুরার অতিরিক্তি পুলিশ সুপার মোবাশ্বের হোসেন বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে প্রথমে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে নিহত তীর্থের বন্ধু আমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উদঘাটন করা হয়েছে। একই সাথে তার স্বাীকারোক্তি অনুযায়ী মাগুরা সদর উপজেলার কাশিনাথপুর গ্রামে আমানের খালার বাড়ির একটি রান্না ঘর থেকে নিহত তীর্থের মোটরসাইকেলটি উদ্ধার হয়। তিনি আরও জানান, হত্যাকাণ্ডের বিষয় এখনো তদন্ত চলছে। হত্যাকাণ্ডটি তীর্থের বন্ধুদের দ্বারাই সংঘটিত হয়েছে। তবে হত্যাকাণ্ড কতজনের মাধ্যমে ঘটেছে কিংবা কী কারণে ঘটেছে সে বিষয়টি খুব দ্রুত জানানো হবে। আপাতত তদন্ত ও অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের স্বার্থে অনেক তথ্যই প্রকাশ করছি না। এরই মধ্যে শহরে বিভিন্ন এলাকায় মাগুরা পুলিশ সুপারের তত্তাবধানে থাকা সিসিটিভি ফুটেজের মাধ্যমে এই হত্যাকাণ্ডের বেশ কিছু তথ্য পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে। সোমবার রাতে শহরের পুরাতন বাজার এলাকার নিজ বাড়ি থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে তিন বন্ধুর সাথে বেরিয়ে যান রুদ্র। তারপর থেকে সারারাত তার খোঁজ মেলেনি। তীর্থ রুদ্রের বাবার মৌখিক সংবাদের ভিত্তিতে সদর থানা পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে রুদ্রের অবস্থান শনাক্তের চেষ্টা করে সোমবার রাতে।

পরদিন মঙ্গলবার সকালে শহরের দরি মাগুরা এলাকার একটি পুকুর পাড় থেকে তীর্থ রুদ্রের লাশ উদ্ধার হয়। তাকে দুর্বৃত্তরা গলা কেটে ও মুখে ধারালো অস্ত্র নিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে সেখানে ফেলে রেখে গিয়েছিল। এলাকাবাসীর খবরের ভিত্তিতে পুলিশ তীর্থ রুদ্রের মরদেহ উদ্ধার করে।

Advertisement

মিলন রহমান/এমআরএম