স্পেন যখন সেমিফাইনালে ওঠার প্রহর গুণছিল, ঠিক তখনই যেন আগুনের ফুলকির মত হাজির হলেন ভিরতজ। ৮৯ মিনিটে গোল করে জার্মানিকে ১-১ এ সমতায় ফেরান এই বেয়ার লেভারকুসেন তারকা। দানি ওলমোর করা ৫১ মিনিটের গোলে অনেকটাই স্বাচ্ছন্দ্যে ছিল স্পেন, কিন্তু জার্মানির সমতায় ফেরায় ম্যাচ গড়ালো অতিরিক্ত সময়ে।
Advertisement
প্রথমার্ধে স্পেনের দাপট ছিল, দ্বিতীয়ার্ধে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় জার্মানি। দারুণ খেলে নির্ধারিত সময়ের শেষ মুহূর্তে এসে গোলও পেয়ে যায়।
ম্যাচের ১৫ মিনিটে ফ্রি কিক থেকে ইয়ামালের বাঁ পায়ের শট বেশ ক্লোজ ছিল। পোস্টের ডানদিক ঘেঁষে চলে যায়। এর দুই মিনিট পর ফ্যাবিয়েন রুইস বক্সের বাইরে থেকে মারেন ওপর দিয়ে।
ম্যাচের ২১ মিনিটে প্রথম সুযোগ পায় জার্মানি। জসুয়া কিমিচের ক্রস থেকে কাই হাভার্টজের বক্সের মধ্য থেকে হেড অবশ্য ফিরিয়ে দেন স্পেনের গোলরক্ষক উনাই সিমন।
Advertisement
৩৫ মিনিটে স্পেনের হাভার্টজকে গোল করতে দেননি নুয়্যার। ৩৯ মিনিটে দানি ওলমো আর ৪৫ মিনিটে ইয়ামালের শটও আটকে দেন জার্মান গোলরক্ষক। গোলশূন্য থেকেই প্রথমার্ধ শেষ করে দুই দল।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে আবারো বল দখলে নিয়ে আক্রমণ করতে থাকে স্পেন। ৪৭ মিনিটে আলভারো মোরাতা গোলের সুযোগ পেলেও তার শট রুখে দেন নুয়্যার। ৫১ মিনিটে জার্মান রক্ষণ দুর্গ ভাঙেন পেদ্রির বদলি নামা দানি ওলমো।
লামিন ইয়ামালের ক্রস থেকে ডান পায়ের জোড়ালো শটে গোল করে দলকে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে দেন। মাত্র ১৬ বছর বয়সী ইয়ামালের এবারের ইউরোতে এটি তৃতীয় এসিস্ট।
৬৪ মিনিটে বদলি হিসেবে নামা ফুলক্রুগের হেড গোলবারের সামান্য উপর দিয়ে চলে যায়। মুহুর্মুহু আক্রমণে স্পেন ডিবক্সের ভেতর ঝড় তুলতে থাকে জার্মানি।
Advertisement
৭০ মিনিটে আবারো গোলের সুযোগ পায় জার্মানি। আনদ্রিখের দারুণ শট উনাই সিমন রুখে দেন। ৭৭ মিনিটে গোলের অনেক কাছাকাছি চলে গিয়েছিল জার্মানি। ফুলগ্রুগের ডান পায়ের শট গোলবারে লেগে প্রতিহত হলে আর সমতায় ফেরা হয়নি তাদের।
একটা সময় স্পেন ৫৫ শতাংশ বল নিজেদের দখলে রাখলেও শেষ দিকে জার্মানরা ৫০ শতাংশে তা নিয়ে আসে। ৮১ মিনিটে জামাল মুসিয়ালা ডি বক্সে বল নিয়ে ঢুকলেও তা বাম দিক দিয়ে বাইরে মারেন।
অবশেষে ৮৯ মিনিটে জার্মানিকে কাঙ্ক্ষিত গোল এনে দেন চলতি মৌসুমের বুন্দেসলিগার সেরা ফুটবলার ফ্লোরিয়ান ভিরতজ। ডিবক্সের ভেতর জটলা থেকে ডান পায়ে গোল করে দলকে ১-১ এ সমতায় ফেরান তিনি। ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।
এমএমআর/